নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

মানুষ এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। এনিয়ে মঙ্গলবার ডেবরার প্রশাসনিক সভা থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তাঁকে বলতে শোনা যায়,’ এনআরসি আতঙ্কে ১১ জন মারা গেলেন। তাঁদের কি অপরাধ ছিল ? নাগরিক হতে পারব কি পারব না এই চিন্তাতেই মারা যাচ্ছেন। যেকোনো একটা ডকুমেন্ট থাকলেই হবে। কেউ তাড়াতে পারবে না। একটা মানুষকেও যেতে হবে না।

তিনি জানান, ‘এনআরসি নিয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মানুষের মনে ভয় ধরাচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক শ্রেণীর ফড়েরা নেমে পড়েছে তারা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বলছে, তোমার ভোটারলিস্টে নাম তুলে দেব , রেশন কার্ড করে দেব। এজন্য তারা টাকা তুলছে। এরা কোনো রাজনৈতিক দলের লোক নয়। এরা বিভিন্ন এজেন্ট এর হয়ে কাজ করছে। এর পরিবর্তে টাকা পায় ।’
সভায় উপস্থিত ডিজিকে বলেন, ‘এই ফড়েদের আটকাতে হবে। তারা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে আতঙ্ক, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে হবে। এরা অনুমোদনহীন। সরকারি কর্মী ছাড়া কেউ পাড়ায় গিয়ে রেশন কার্ড, ভোটার লিস্ট নিয়ে কথা বললেই পুলিশকে জানান ।কারন সরকার তাদের অনুমোদন দেয়নি।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রাম থানার আইসি-কে অকাজ করার অভিযোগে ধমক মুখ্যমন্ত্রীর
বিডিও ও ভোটার কাজে যুক্ত আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এরকম অনেক অভিযোগ আসছে আপনারা ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নিয়মিত বসছেন না । বিডিওরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে সঠিকভাবে সার্ভে করছেন না। কারো নাম বাদ গেলে আপনারা দুঃখ পান না। কিন্তু জনগণ আমাদের দোষারোপ করেন। বিডিওরা প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি যান। বিডিও এবং এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিকদের আরও মানবিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ কারও ডকুমেন্ট আগুনে পুড়ে গেছে । কারও বন্যার জলে ভেসে গেছে। গরিব মানুষজন যাচ্ছেন। হবে না বলে তাড়িয়ে দেবেন না। থানায় এফআইআর করতে বলুন । সেই কাগজ দেখালেও হবে। ‘
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584