মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট হয় কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে।প্রথম দফার ভোটে বিরোধীদের দাবী ছিল ২৯৭টি বুথে পুনর্নির্বাচনের করানোর আবেদন করেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।
যদিও দুই একটা জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিতে ভোট হয় কোচবিহারে।
বিরোধীদের দাবীকে পাত্তা না দিয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে মাত্র একটি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন৷
জানা গেছে,আগামী ২৯ এপ্রিল রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোটের দিনই কোচবিহারের ওই বুথে ভোট গ্রহন হবে৷
প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারের বিভিন্ন বুথে গন্ডগোলের অভিযোগ উঠেছিল৷ বিশেষ করে কোচবিহারের শীতলকুচির ১৮১ নম্বর বুথে দীর্ঘ সময় ভোট বন্ধ ছিল৷
সূত্রের খবর,ভোটের দিন ওই বুথে ‘মক পোল’ এর ভোট না মুছেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ভোটগ্রহণ৷এরপরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন৷নিয়ম অনুযায়ী জেলাশাসক ও পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে হয় স্ক্রুটিনি৷সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন৷
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট হয়েছিল ১১ এপ্রিল৷ওই দিন রাজ্যের দু’টি আসনে ভোট গ্রহন হয়৷ তারমধ্যে কোচবিহারে ভোট পড়েছিল ৮৩.৮৮ শতাংশ৷ প্রথম দফার নির্বাচন কমিশনের দাবি ছিল,বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ৷যদিও বিরোধীদের অভিযোগ ছিল,ভোটের দিন যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না, সেই সব বুথেই বেশি গন্ডগোল হয়েছে৷
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কথার অর্থ ‘তুষ্টিকরণ’ খড়গপুরের জনসভায় নির্মলা
ভোট শেষে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির তরফে কোচবিহারের ২৯৭টি বুথে ফের ভোটের দাবি জানানো হয়েছিল৷বাম প্রতিনিধির একটি দল কোচবিহারের ৬৩টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল৷ স্ক্রুটিনির পর একটি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584