ভোট মার্জিন বাড়াতে মরিয়া শতাব্দী, অন্যদিকে অনুব্রত দুধকুমারের দৈরথ

0
139

পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ

Competition between candidates at birbhum
রামপুরহাট কর্মী সভায় প্রার্থী শতাব্দী রায়। নিজস্ব চিত্র

লোকসভা ভোটে ফের জয় নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায়।আপাতত গতবারের থেকে আরও বেশি লিডে জেতার বিষয়টিকে তিনি পাখির চোখ করছেন।সেজন্য দলের নতুন কর্মীদের বাড়তি উদ্যম নিয়ে প্রচারে ঝাঁপাতে পরামর্শ দিলেন তিনি।আজ রামপুরহাটে তৃণমূলের কর্মীসভা ছিল।সেখানে শতাব্দী বলেন, “২০০৯ সালে আমি বীরভূমে প্রার্থী হওয়ার সময় জেলায় তৃণমূলের সংগঠন এখনকার মতো মজবুত ছিল না। এখন সভায় এত মানুষ উপস্থিত হয়েছে, তখন এত ছিল না।আমার কথা হচ্ছে,আমি আগে যে লিডে জিতেছি, এবারও যদি সেই লিডেই জিতি, তাহলে আপনাদের গুরুত্ব কী?গতবারের ভোটের পর অনেক কর্মী দলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা কী করছেন?”২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। বি.জে.পি, সি.পি.আই(এম) ছেড়ে অনেকে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছে। সে প্রসঙ্গে প্রার্থী বলেন, “২০১৪ সালে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটে জিতেছিলাম।সেই ভোটটা আমার। তাতে আপনাদের অধিকার নেই।এরপর যে ভোট আসবে,সেগুলির ক্ষেত্রে আপনারা বলতে পারবেন আপনারা কাজ করেছেন।”কী কারণে দলের কর্মীদের এই বার্তা দিচ্ছেন তারও ব্যাখ্যা দেন শতাব্দী।তিনি বলেন, “আপনারা আরও বেশি করে যাতে কাজ করেন সেজন্য এই কথা বললাম।”

Competition between candidates at birbhum
বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মন্ডল। নিজস্ব চিত্র

বি.জে.পি, কংগ্রেসকে তোয়াক্কা করি না।কে কী বলল আমি পাত্তা দিই না।আমার খেলা আমি দেখে নেব।” হুমকির সুরে ঘোষণা অনুব্রত মণ্ডলের।
বক্তব্য বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বি.জে.পি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডলকে কটাক্ষ করে বলেন, “ও একটা ফালতু পচা আলু।আমি কিছু বললেই তোমরা তা হাইলাইট করবে।তাই ওর বিষয়ে আমি কিছু বলব না।”
অন্যদিকে, “নির্বাচন কমিশনই ওঁকে নকুলদানা খাওয়াবে। প্রস্তুত থাকুন।” নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এভাবেই অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বি.জে.পি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল।এদিকে, আজ সিউড়িতে নির্বাচনী প্রচার করেন বি.জে.পি-র বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল।

আরও পড়ুনঃ ‘আমাদের কাছে খবর চলে আসবে….’ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের

প্রচারের মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “উনি (অনুব্রত মণ্ডল) নকুলদানা কাকে খাওয়াবেন, আর কে খাবেন ? এখন উনি নির্বাচন কমিশনের কাছে নকুলদানা খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুক।নির্বাচন কমিশন ওঁকেই আগে নকুলদানা খাওয়াবে। অপেক্ষা করুন। ওরা যদি আমাদের আক্রমণ করে আমরা তা আটকাব।জগাই মাধাই হয়ে তো আর দাঁড়িয়ে থাকব না।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here