উমার ফারুক,নিউজ ফ্রন্ট,চাঁচল,১৬আগস্ট:
মালদা জেলার চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।এই অঞ্চলের অন্তর্গত খানপুর গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি এখন খুবই উদ্বেগজনক।গ্রামের লোকজন জিনিসপত্র,গবাদিপশু নিয়ে নাজেহাল অবস্থায়। ঘরবাড়ী সব অথই জলের তলায় চলেগেছে।গ্রামের মানুষ প্রাণের ভয়ে ছোট ছুটি করছে ও নিরাপদে আশ্রয়ের সন্ধান করছে।স্থানীয় বাসিন্দা মতিউর রহমান জানান – মহানন্দার জল গ্রামে হুহু করে ঢুকছে,সব থেকে বেশী প্রভাবিত দুই নদীর মধ্যে থাকা তেলাইগাছি ও কাশিকুড়ি গ্রাম।এর পাশেই পুখুরিয়া থানার শ্রীপুর অঞ্চলের গোবিন্দপুর,হরিরামপুর,নজরপুর,মাগুরা গ্রামও বন্যা কবলিত।বন্যাগ্রস্ত মানুষেরা মাস্টার প্ল্যান বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী আসেনি বলে অভিযোগ করেন খানপুর গ্রামের আব্দুল বারি, নজরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, গোবিন্দপুর গ্রামের তফাজজল হক প্রমূখ মানুষরা।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান আমরা গ্রামবাসী নিজেরাই উদ্ধার করে মানুষ কে নিরাপদ আশ্রয়এ নিয়ে আসছি ও যথা সম্ভব ত্রাণের ব্যবস্থা করছি।এর মধ্যে আবার নজরপুর গ্রামের কাছে মাস্টার প্ল্যান বাঁধ এ ফাটল ধরে জল নামতে শুরু করেছে তারও মেরামত করছি আমরা গ্রাম বাসি সম্মিলিত ভাবে।এলাকার বন্যা কবলিত ক্ষুব্ধ মানুষদের একটাই দাবি এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক।মালতীপুরের বিধায়ক আলবেরুনী জুলকারনাইন জানান চন্দ্রপাড়া অঞ্চলের মানুষ বন্যায় ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। আমি ত্রাণের ব্যবস্থা করছি নৌকার অভাবে আজ যেতে পারিনি।আগামী কাল ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এলাকার দুর্গত মানুষদের কাছে যাব।কিন্তু প্রশাসন তো নীরব দর্শক,প্রাথমিক সাহায্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে হওয়া দরকার।প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিধায়ক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584