বিশ্বজিৎ সরকার,দার্জিলিংঃ
মঙ্গলবার শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নিকরগছ এলাকায় টাকা নিয়ে বচসায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল।
এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।মৃতার নাম আমিনা খানতুন।
জানা গিয়েছে যে, দুবছর আছে মহম্মদ কফিল ও সাবিনা খাতুনের বিয়ে হয়। এরপর মাঝে মধ্যে বেশ দুজনের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। ঘটনার সূত্রপাত স্বামী মহম্মদ কফিল সাবিনা খাতুনের কাছে ২৫ হাজার টাকা রাখতে দেয়। এরপর বেশ কয়েকদিন পর তা ফেরত চাইলে সাবিনা ২৫ হাজার টাকা স্বামীর হাতে তুলে দেয়। কিন্তু কফিলের বক্তব্য সে ২৫ নয় ২৬ হাজার টাকা দিয়েছিল। বাকি এক হাজার টাকা কোথায় গেল। এই গিয়ে শুরু হয় অশান্তি।
এরপর গোটা ঘটনার কথা আমিনা খাতুন তার বাপের বাড়ির লোকজনকে জানায়। এরপর আমিনাকে বুঝিয়ে আবার শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেয় তার পরিবারের লোকজন। এরপর ফের একবার গত সোমবার এক হাজার টাকা গিয়ে শুরু হয় বচসা। এবং দাদা সাকিব উদ্দিন বোনকে আশ্বস্ত করে যে সমস্ত ঘটনা সমাধান করে আসবেন। এরপর এদিন সকালে এলাকার একটি চা বাগানের ঘর থেকে সাবিনা খাতুনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।খবর দেওয়া হয় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশকে।খবর পৌছায় আমিনার বাড়িতে।
আরও পড়ুনঃ পুকুরে ভাসমান দেহ উদ্ধার
অপরদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মেজিস্ট্রেট সঞ্জু গুহ মজুমদার।পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে। যদিও আমিনার পরিবারের তরফ থেকে মহম্মদ কফিল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুন অভিযোগ দায়ের হয়েছে ফাঁসিদেওয়া থানায়। তাদের অভিযোগ জামাই মহম্মদ কফিলই তাদের বোনকে খুন করে চা বাগানের ঘরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে কিভাবে মৃত্যু হল।তবে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়েছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584