শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
সম্প্রতি মুম্বাই সফরে গিয়েছিলেন বাংলার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বিভিন্ন শিল্পপতিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনার প্রধান মুখপাত্র উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য -এর সাথে দীর্ঘক্ষণ বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিবসেনার রাজ্যে সভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। যদিও গত শুক্রবার মুম্বাই থেকে ফেরার আগে উদ্ধব ঠাকরের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। মুম্বাই এর মাটিতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুল গান্ধীকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন তিনি।
তবে মমতার কংগ্রেসকে আক্রমণ করাটা ভালোভাবে নেননি শিবসেনার মুখপাত্র উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বাঘিনীর সাথে তুলনা করে বলেছেন, “তিনি বাংলায় যেভাবে বাঘের মতো বিজেপির সাথে লড়াই করে বিজেপিকে হারিয়েছে তা সত্যিই প্রসংশনীয়, তবে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের মত দলকে ব্রাত্য রাখলে পক্ষান্তরে বিজেপির মত ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত আরও শক্ত হবে।”
‘সামনা’ নামক এক ইস্তাহারে সম্পাদকীয় কলমে আরও বলেছেন, “আসন্ন লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ১০০ টির বেশি আসন না পেলে কেন্দ্র কোনভাবেই বদল সম্ভব নয়। যে কারণেই কংগ্রেসকে জোট বাইরে থাকলে বা দূরে রাখলে আখেরে নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করবে।” ‘সামনা’ এর সম্পাদকীয় কলমটি বিবেচনা করলে একপ্রকার মমতা ও ঠাকরের কংগ্রেসকে নিয়ে বিপরীত মেরুতে অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে যতই তৃণমূলের সুপ্রিমো প্রশ্ন তুলুক না কেন কংগ্রেসকে ছাড়া জোট সম্ভব নয়, সেটা স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছে কুণাল ঘোষের একের পর এক টুইট।
আরও পড়ুনঃ শ্রীলঙ্কার নাগরিকের গণপিটুনিতে খুন ও জ্বালিয়ে দেওয়া পাকিস্তানের “লজ্জার দিন”, মন্তব্য ইমরানের
গতকাল শুক্রবার কুণাল ঘোষ ধারাবাহিক টুইট করে জানান, “কখনই বিজেপি বিরোধী জোট থেকে কংগ্রেসকে বাদ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এই বিরোধী জোট কে শক্ত করতে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মাত্র। তবে এব্যাপারে কংগ্রেস এখনও একেবারে নীরব। তৃণমূল হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। সাধারণ জনগণ যেখানে চাইবেন আমরা সেখানেই দল বিস্তার করবো। বাকি শীর্ষনেতৃত্ব যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
আরও পড়ুনঃ বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেসের ব্যর্থতা দেখছেন পিকে, স্পষ্ট করলেন টুইট করে
তবে এমন পারস্পরিক বিরোধীতার মধ্যে দিয়ে জোট কতদূর এগোয়, সেটাই এখন দেখার বাকি! উত্তরটা যথাসময়ে দিয়ে দেবে সময়ই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584