পিয়া গুপ্তা,রায়গঞ্জঃ
গণতন্ত্র রক্ষার দাবী নিয়ে শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় বিশাল সমাবেশ করল কংগ্রেস। চোপড়ার দাসপাড়া হাইস্কুল মাঠে কংগ্রেসের এই জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান,কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সী, সাংসদ অভিজিৎ মুখার্জী, আবু হাসান খান সহ একাধিক কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কংগ্রেস নেতানেত্রীরা।সভায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন জনসভায় উপস্থিত কংগ্রেস নেতৃত্বের।
চোপড়ায় কংগ্রেসের জনসভা, তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাড়িভিট প্রসঙ্গ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “আমরাও চাইছি ঘটনার সিবি আই তদন্ত হোক। এই রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করা যাবে না। পুলিশ,প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেস এক হয়ে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা এই রাজ্যে নেই।” সিবিআই নিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের পথে এই রাজ্যের হাঁটার প্রসঙ্গে সোমেন বাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাথা প্রতি কথায় কথায় সিবিআই চাইতেন। আজ হঠাৎ কেন সিবিআই আটকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন? তাহলে কী ভয় আছে? ”
চোপড়ায় কংগ্রেসের জনসভা, তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ এদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবদুল মান্নান বলেন,” চোপড়া থেকে যা শুরু হয়েছে তা সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে। সন্ত্রাসের জেরে মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে বিকল্প খুঁজছে। বিজেপিকে রাজ্যের মানুষ কোনও দিনই মেনে নেয় নি। গোটা ভারতবর্ষের মানুষ একটা প্রতারক প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে।তিনি মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখন বিকল্প বলতে শুধু কংগ্রেস।রাফাল চুক্তির লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেস যখন আন্দোলন করছে তখন তৃণমূলকে দেখা যাচ্ছে না।কারণ, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। এদের যেমন চিটফান্ড কেলেঙ্কারি আছে, তেমন নরেন্দ্র মোদীর রাফায়েল কেলেঙ্কারি আছে। মোদীও চিটফান্ডের বিরুদ্ধে বলবেন না, দিদিও রাফায়েলের বিরুদ্ধে বলবেন না।”
আরও পড়ুনঃ জেলা সভাপতিকে পেয়ে খুশির হাওয়া বিজেপি কার্যালয়ে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584