যোগী রাজ্যে ১৪ জন চিকিৎসকের গণ ইস্তফা ঘিরে বিতর্ক

0
185

ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। অক্সিজেন, বেড, ওষুধ সবই অমিল। মৃত্যুমিছিল চারিদিকে, চলছে গণ শব দাহ। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের পরিস্থিতি আরও খারাপ। সৎকার না করেই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেহ। এই ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে যোগী প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে ১৪ জন চিকিৎসকের গণ ইস্তফা উন্নাওয়ে।

yogi | newsfront.co
যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র

করোনার এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের গণ ইস্তফা নতুন বিতর্ক উস্কে দিলো যোগী রাজ্যে।উন্নাওয়ের কমিউনিটি হেলথ সেন্টার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ১৪ জন চিকিৎসক জানিয়েছেন করোনার এই ভয়াবহ অবস্থায় তাঁরা দিবারাত্রি পরিশ্রম করছেন কিন্তু বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে তাঁদেরই। এমনকি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার জন্যও তাঁদেরই দোষারোপ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্র থেকে পাঠানো ভেন্টিলেটরের অধিকাংশই অকেজো! বিস্ফোরক অভিযোগ গেহলটের

এই ১৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১১ জন বুধবার সন্ধ্যায় উন্নাওয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসারের দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের বক্তব্য, অতিমারীর এই পরিস্থিতিতে কঠোর পরিশ্রম করার পরেও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করে ”বলির পাঁঠা” বানানো হচ্ছে। তাই তাঁদের এমন পদক্ষেপ।

পদত্যাগ করা চিকিৎসকদের মধ্যে একজন ডাঃ শারদ বৈশ্য বলেন, “আমরা ২৪ ঘন্টা ধরেই কাজ করছি। কিন্তু তাও আমাদের ‘কাজ না করার’ জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।” জেলাশাসক, অন্যান্য কর্মকর্তা, এসডিএম এবং তহশিলদার সকলেই তাঁদের কাজের তদারকি করছেন আর মিটিং করছেন। চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল প্রতিদিন দুপুরে বের হন, কোভিড রোগীদের খোঁজখবর রাখেন, নমুনা তৈরি করেন, ওষুধ বিতরণ করেন। তারপর ফিরে আসার পর তাঁদের যেতে হয় এসডিএমের কাছে, রিভিউ মিটিংয়ে।

আরও পড়ুনঃ সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের ছবি তোলা বা ভিডিওগ্রাফিতে নিষেধাজ্ঞা জারি, কিন্তু কেন!

তাঁরা জানান, কেউ যদি ৩০ কিলোমিটার দূরে থাকেন তাহলে তাঁকে শুধুমাত্র রিভিউ মিটিংয়ের জন্য ৩০ কিলোমিটার এসে ফেরত যেতে হয় আবার। এই ভাবেই কি প্রমাণ দিতে হবে যে আমরা কাজ করছি? প্রশ্ন চিকিৎসকদের। উন্নাওয়ের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার চিকিৎসকদের এভাবে পদত্যাগের প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবিষয়ে তিনি আশাবাদী।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here