নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সবে মাত্র গতকাল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ৪ জনের, সহানুভূতি তো দূরের কথা- “বাড়াবাড়ি করলে আরও শীতলকুচি হবে” বলে হুমকি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের। শিতলকুচির ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়। এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয় বহু বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাই এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় ওঠে এই ঘটনা নিয়ে। আর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই দিলীপের এই বিতর্কিত মন্তব্য। “বাড়াবাড়ি করলে আরো শীতলকুচি হবে” বলে ঠিক কাকে হুমকি দিতে চাইলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি! প্রশ্ন সব মহলে।
আরও পড়ুনঃ ডবল ইঞ্জিনেও সামাল দেওয়া গেল না! ত্রিপুরার উপজাতি পরিষদের ভোটে ধাক্কা খেল ‘পদ্ম’ শিবির
দিলীপ রবিবার বলেন”১৭ তারিখ সকালেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।”রবিবার বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্রর সমর্থনে বরাহনগরের জনসভায় দিলীপ আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে মা-বোনেরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না। মেয়েরা টিউশন গেলে চিন্তায় থাকে পরিবার। বাজারে গেলে মা-বোনেদের আঁচল ধরে, হাত ধরে টানা হয়”।
তিনি আরো বলেন ,”সবে তো শুরু হয়েছে! যারা ভেবেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুকটা দেখোনার জন্য নিয়ে এসেছে, তারা বুঝে গিয়েছে ওই গুলির গরম কেমন। সারা বাংলায় এটা হবে।’’স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপের এই বক্তব্যেও তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সব মহলে। নির্বাচন কমিশন আদৌ এই মন্তব্যের পরে দীলিপ ঘোষের মুখে লাগাম পরায় কিনা সেই প্রশ্নই ওঠে আসছে সর্বত্র।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584