শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে ২০০ জন ছাড়িয়ে গেল বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২৪ ঘন্টায় নতুন ২৩ জন আক্রান্তের হিসেবে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। আর কেন্দ্রীয় হিসেবে এই মুহূর্তে ১৬৯ জন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে রাজ্যের দাবি, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ১৭ জনের। এই নিয়ে করোনা চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩২। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন। নতুন করে আর কারও মৃত্যু হয়নি, মৃতের সংখ্যা ৭। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনার ঘটনা ১৮১ জনের। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ করোনার কবলে এবার কলকাতা পুলিশের কর্মী
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও নবান্নের দেওয়া পরিসংখ্যানের মধ্যে ফারাক রয়েছে। বিরোধী শিবিরের বিশেষ করে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর ঘটনা গোপন করা হচ্ছে। যা রাজ্যকে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কারণ, লোকে নিশ্চিন্ত হয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে বহু লোক লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। অনেক বেশি সংখ্যক করোনায় মৃত মানুষের দেহ সৎকারও গোপনে করা হয়েছে রাজ্যে। এমনকি এ রাজ্যে কিট থাকা সত্ত্বেও ঠিকঠাক করোনা টেস্টিংও হচ্ছে না। আজ পর্যন্ত ৩০৮১ জনের করোনা নমুনা টেস্ট করা হয়েছে। বিপুল হারে টেস্ট করা না হলে রাজ্যে প্রকৃত করোনা আক্রান্তের পরিস্থিতি কখনও ধরা পড়বে না।
যদিও রাজ্য সরকার বারবারই দাবি করেছে, তথ্য গোপনের দাবি ভিত্তিহীন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ওষুধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাড়া দিচ্ছেন। অনেকেরই নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কো নিউমোনিয়া বা অন্য কোনও কঠিন অসুখ রয়েছে। কারও বা মৃত্যুর সময়ে কিংবা মৃত্যুর পর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। সেগুলোকে অডিট কমিটির কাছে খতিয়ে তবে মৃতের সংখ্যা জানানো হচ্ছে। এই নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584