পুরসভা-স্বাস্থ্যভবনকে জানিয়েও হেনস্থা, বাড়ির ফ্রিজে ২ দিন পড়ে রইল করোনা রোগীর লাশ

0
72

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

করোনা সংক্রমণ না ছড়ানোর জন্য একাধিক নিয়মের নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন থেকে পুরসভা। কিন্তু রিপোর্ট না আসায় টানা ২ দিন ধরে বাড়ির ফ্রিজে পড়ে রইল করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ। পরে রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এলে বুধবার সকালে স্বাস্থ্যভবন থেকে খবর পেয়ে দেহ নেয় পুরসভা। খাস উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট থানা এলাকার একটি আবাসনে চিকিৎসক দিবসে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি সামনে এসেছে।

Corona dead body | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

পরিবার সূত্রে খবর, করোনার একাধিক উপসর্গ নিয়ে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তার চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসককে আসতেও বলা হয়। কিন্তু তিনি আসার আগেই সোমবার দুপুর তিনটেয় মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। মৃত্যুসংবাদ শুনে পিপিই পরে এসে পারিবারিক ডাক্তার পরীক্ষা করে ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করার পর নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে পরামর্শ দেন, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দেহটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিতে হবে।

চিকিৎসকের কথামতো মৃতের নমুনা ওই দিন সকালেই চিকিৎসকের পরামর্শে একটি বেসরকারি ল্যাবে দেওয়া হয়েছিল। তারপর পরিবারের তরফে প্রথমে থানায় যোগাযোগ করা হয়। থানার পরামর্শে তার ধাপে ধাপে পুরসভা এবং স্বাস্থ্যভবনকেও জানানো হয় বলে দাবি পরিবারের।

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসক দিবসে ছুটি ঘোষণা প্রতারণা, দাবী সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের

এদিকে এই সমস্ত দৌড়াদৌড়িতে সোমবার সারা দিন কেটে যাওয়ায় মৃত বৃদ্ধের দেহে পচন শুরু হয়। উপায় না পেয়ে মঙ্গলবার একটি ফ্রিজের ব্যবস্থা করেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই রাখা হয় দেহ। এদিন রাতে রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যায়, মৃত করোনা পজিটিভ। এরপর নিয়ম মেনে ফের রাতে স্বাস্থ্যভবনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু তখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কোনও সংরক্ষণ কেন্দ্র পাওয়া যায় কি না, তারও খোঁজ শুরু হয়। পরে বুধবার সকালে যোগাযোগ করা সম্ভব হলে খবর যায় কলকাতা পুরসভায়। এরপরই দেহ নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ হাসপাতালের গাফিলতিতেই মৃত্যু ঐত্রীর আমরি-কে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের

মৃতের পরিবারের সদস্যদের মৃতের ছেলে বলেন, ‘দুদিন ধরে সব রকম দৌড়াদৌড়ি করেও কিছুই করতে পারিনি। বাবার মৃতদেহ দুদিন ধরে চোখের সামনে বাড়িতেই পড়েছিল। অন্যান্য প্রতিবেশী এবং এখানকার সকলেও বিপদে ছিলেন। সব জানানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও হেনস্থা হতে হল আমাদের। মৃত্যুর পর এমন অভিজ্ঞতা হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।’

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here