শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সমন্বয়ের অভাবে ফের অমানবিকতার নজির শহরে। করোনা রোগীর মৃত্যুর পরেও তার দেহ সৎকারের অভাবে বাড়িতেই পড়ে রয়েছে, এমন দৃশ্য আগেও দেখেছে কলকাতা। এবার ফের কড়েয়ার বেকবাগানে মৃত্যুর পর ১৪ ঘণ্টা করোনা রোগীর দেহ বাড়িতে পড়ে রইল। স্বাস্থ্যভবন এবং পুলিশের সমন্বয়ের অভাবেই এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের।
সূত্রের খবর, বেকবাগানের বাসিন্দা ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধ কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হন। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই সৎকারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় পরিবারের সদস্যদের। প্রথমে বিষয়টি পুলিশে বিষয়টি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে তাদের স্বাস্থ্যভবনে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারের
স্বাস্থ্যভবনে বিষয়টি জানালেও তারাও কেউ কর্ণপাত করেননি। ফলে রাতভর ঘরেই পড়ে থাকে ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা পর ওই দেহ উদ্ধার করে সৎকারের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। যেখানে করোনায় মৃতের দেহ সৎকার নিয়ে এত নিয়মকানুন, সেখানে প্রশাসনের এই উদাসীন মনোভাবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ নিয়মের গেরোয় ১৬ ঘন্টা দোকানেই পড়ে রইল করোনা আক্রান্তের দেহ
প্রসঙ্গত, এর আগে পর পর দু’বার এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে কলকাতায়। ১ জুলাই প্রথমে আমহার্স্ট স্ট্রিটে মৃত্যুর পর ২ দিন ধরে ৪৬ ঘন্টা পড়ে থাকে এক বৃদ্ধের দেহ। দেহে পচন ধরলে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করেন পরিবারের লোকজন। তারপর সেই দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আবার আমহার্স্ট স্ট্রিটে মিষ্টি ব্যবসায়ীর দেহ ১৬ ঘন্টা পড়ে থাকে তাঁর দোকানে। দেহ ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা হয়। পরে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা হয়। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584