শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সারা বিশ্ব এখন তার ত্রাসে স্তব্ধ। তার হাতছানিতে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। এই মারণ ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দি গোটা বিশ্বের মানুষ। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতা দেশপ্রিয় পার্কে এলে আপনার চক্ষু ছানাবড়া হতে বাধ্য। কারণ, প্রায় ৪০ বছর অর্থাৎ ৪ দশক এখানে রমরমিয়ে চলছে করোনা।
না, এই করোনা এখনকার বিশ্বের মারণ করোনা ভাইরাস নয়। প্রসঙ্গত, মানুষের জীবনে এই ভাইরাসের অবতরণ নতুন হলেও কুকুর-বিড়ালের জীবনে এই ভাইরাস অনেক পুরনো। আর তাই তাদের ওষুধ-সহ বিভিন্ন খাবার দাবারের দোকান খুলেছিলেন মালিক বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক লাগোয়া ওই দোকানেরই নাম করোনা। কুকুর, বিড়াল, পাখি-সহ পোষ্যেদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। নিউমার্কেট ও ইএম বাইপাসেও আরও দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দোকান রয়েছে করোনার।
বেলেঘাটার বাসিন্দা দোকানের মালিক বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘কি করে জানবো বলুন, আমার দোকানের নাম একদিন সারা বিশ্বের ত্রাস হয়ে দেখা দেবে। আর এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই মজা করে সারাদিন ফোন করেন। আমরা অবশ্য মোটেই রেগে যাই না। কারণ এর জেরে আমাদের দোকানের প্রচারও যে মিলছে বিনামূল্যে।’
আরও পড়ুনঃ আরও ২ করোনা পজিটিভ স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে, প্রশ্নে পরিষেবা! পজিটিভ দুই পুলিশকর্মীও
বিক্রমজিৎবাবুর কথায়, “নামের মিলে দোকানের কেনাকাটায় কোনও প্রভাব পড়েনি। আগের মতই দীর্ঘদিনের ক্রেতারা একই রকম ভাবে দোকানে আসছেন। ভিড় জমাচ্ছেন। প্রিয় পোষ্যেরর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে পথচলতি মানুষজন যাতায়াতের পথে চোখে-মুখে খানিকটা বিস্ময় নিয়ে আজকাল দোকানের সামনে থমকে যান। অনেকে তো গাড়ি থেকে নেমে এসে দোকানকে পিছনে রেখে সেলফি তোলেন। বলতে পারেন, মারণ ভাইরাস আমার দোকানকেই সেলিব্রিটি বানিয়ে দিয়েছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584