নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলিঃ
চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোতেও এবছর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে করোনা। রবিবার এমনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির বৈঠকে। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি দেখে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ডপসজ্জা সহ অন্যান্য আড়ম্বর বর্জন করতেও উদ্যোক্তারা সম্মতি দিয়েছে।

রবিবারের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভজিৎ সাউ এবং শ্যামল কুমার ঘোষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবার অনাড়ম্বরেই হবে পুজো। মণ্ডপ হবে সামনেটা খোলা। যাতে মণ্ডপের ভিতরে দর্শনার্থীদের জমায়েত যথাসম্ভব কম হয়। তবে সবচেয়ে গুরুতপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিমা নিয়ে।

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রধান ঐতিহ্যই হল প্রতিমা। তার উচ্চতা, মুখের গড়নই চন্দননগরের চিরাচরিত জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল ঐতিহ্য। কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সব কিছুর সঙ্গে আপস করা গেলেও প্রতিমার উচ্চতা কোনোভাবেই কমানো যাবে না।
আরও পড়ুনঃ সরকারি উদ্যোগে শুরু হল টেলিফোনে শিক্ষাদান
কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত, যদি প্রতিমার উচ্চতা নিয়ে সরকারি বা প্রশাসনিক কোনও বিধি থাকে সেক্ষেত্রে ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ডু, চন্দননগরের বারোয়ারিগুলি ঘটপুজো করবে। বিবৃতিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, “প্রশাসন যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই পুজো করতে রাজি। তবে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার ঐতিহ্য তাঁর উচ্চতা। সেটা কমানো হবে না। হয় ঐতিহ্যের বিশাল প্রতিমারই পুজো হবে নয়তো ঘটপুজো হবে।”
আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্যে এল ভূমিপুজোর আমন্ত্রণপত্র, তালিকার শীর্ষে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-যোগী আদিত্যনাথ
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো আরও দুটো কারণে বিখ্যাত। প্রতিবছর এই পুজোর আলো ও শোভাযাত্রা তাক লাগিয়ে দেয় প্রত্যেকটি মানুষকে। তাই এগুলো ছাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো অসম্পূর্ণ। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল কমিটি। তবে এটা বলাই যায় যে, এবছর করোনার কোপে ম্লান হতে চলেছে চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584