শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে সংক্রামক রোগের জন্য নির্ধারিত সবচেয়ে বড় হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডিতে সাধারণ ওয়ার্ডের রোগীর শরীরেও মিলল করোনা পজিটিভ। হাসপাতালগুলি করোনা হটস্পট হয়ে উঠছে, এমন অভিযোগ ছিলই। এবার চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরাই গোপনে তার বাহক হয়ে উঠছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকদেরই একাংশ। বিষয়টি নিয়ে চরম আতঙ্কে ওই ওয়ার্ডে কর্মরত ইন্টার্নরাই।
প্রসঙ্গত, অন্য অসুখ নিয়ে রবিবার রাতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি হন এক রোগী। করোনার কোনও উপসর্গই তার ছিল না। আচমকা সোমবার থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তখনও তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ আমি নির্বাচিত আপনি মনোনীত, রাজ্যপালকে কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
এরপর মঙ্গলবার রাতে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মত সেই সময় এনআরএস হাসপাতাল থেকে ৪ জন জুনিয়র ডাক্তারকে বেলেঘাটা আইডি’তে ডিউটি করতে পাঠানো হয়েছিল।
বুধবার সকালে ওই জুনিয়র ডাক্তাররা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিককে ওই রোগীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দিয়ে নিজেদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি করেন। কিন্তু অভিযোগ, ওই আধিকারিক তাঁদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে হস্টেলে ফিরে যেতে বলেন।
রিপোর্টের কথাও কাউকে জানাতে বারণ করেন। এরপর ইন্টার্ন ডাক্তাররা তাঁদের নিজেদের হস্টেল অর্থাৎ এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে ফিরে সুপারের দ্বারস্থ হন। তিনিও তাদের কথা কানে তোলেননি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত ওই চার জুনিয়র চিকিৎসক প্রিন্সিপাল শৈবাল চক্রবর্তীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তিনি স্মারকলিপি গ্রহণ করে তাতে স্বাক্ষর করলেও, করোনা পরীক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাননি।এই পরিস্থিতিতে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চূড়ান্ত আতঙ্কিত ওই চার চিকিৎসক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584