নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সমগ্র পৃথিবীর এখন একটাই অসুখ। করোনা। কিন্তু গোটা বিশ্বে কীভাবে ছড়ালো এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ? অনেকেরই দাবি এই ভাইরাস এসেছে চিন থেকে। এর উৎপত্তি বিতর্কটা বহুদিনের। প্রমাণ, পালটা যুক্তি চলছে অন্তত তিনমাস ধরেই।
করোনাভাইরাসের উৎস উহানের গবেষণাগার, এই তত্ত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া আমেরিকা এবার ২০১৮’য় চিনের দূতাবাস কর্তাদের সঙ্গে বিদেশ দপ্তরের আলোচনার একটি অভ্যন্তরীণ ও গোপন কেবল পেশ করলো।
উহানের গোপন কেবলে অভিযোগ করা হয়েছে, শুধুমাত্র বাদুড়ের শরীর থেকে পাওয়া সার্সের মতো বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করার অনুমতি থাকলেও উহানের গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন ধরনের সার্স করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন।
আরও পড়ুনঃ বানভাসী কাজিরাঙা, একশৃঙ্গ গণ্ডার-সহ প্রায় ৯৬টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু
যদিও এই তত্ত্বে এখনও মানতে নারাজ বহু মার্কিন গবেষকই। ইউহানের যে গোপন কেবল সামনে এনেছে আমেরিকা তাতে দাবি করা হচ্ছে, ২০১৮ সালেই মার্কিন দূতাবাসের কর্তারা উহানের ওই গবেষণাগারে গিয়ে চমকে গিয়েছিলেন। সেখানে কাজের অনুকূল পরিবেশ তো দূর, উপরন্তু দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন মার্কিন দূতাবাসের ওই কর্তারা।
আরও পড়ুনঃ খবর পাঠের মাঝেই খুলে গেল দাঁত, সামাল দিলেও নজর এড়াল না দর্শকের
পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি যে, মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন অনেকগুলি ভাইরাস নিয়ে উহানের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে কাজ চলছিল। সব ঘটনা জানার পর গত ডিসেম্বরে ইউহানের বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলেই জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)।
এদিকে, গত এপ্রিল থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, উহানের ল্যাব থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি সব নথি দেখেছি। আর তাই আমি নিশ্চিত, উহানের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছিল করোনার সংক্রমণ। তবে কীভাবে নিশ্চিত হলাম, সেটা জানাতে পারব না। সেটা জানানো আমার উচিতও নয়।” একই অভিযোগ করেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584