নিজস্ব সংবাদদাতা, ত্রিপুরাঃ
ত্রিপুরায় ২ থেকে এক লাফে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো মোট ১৬।যদিও দুজন সুস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যে আমবাসা স্থিত ১৩৮ নম্বর বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের একই সাথে এখন পর্যন্ত ১৪ জন করোনা সংক্রমনে সংক্রামিত। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন গোটা রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ করে চলেছেন।
সে জায়গায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ধর্মনগরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ সরকারি নির্দেশিকাকে হেলায় ভাসিয়ে দিয়ে জন সচেতনতাকে বগলদাবা করে চলেছেন। যেমন ধর্মনগর জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে উত্তর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ জনগন সামাজিক দূরত্ব না মেনেই অবাধে চলাফেরা করছেন।
কিন্তু এমন সরকারি নির্দেশ অমান্য কারিদের সচেতন করতে গোটা উত্তর জেলার মূল সরকারি কার্যালয় অর্থাৎ জেলা শাসকের কার্যালয়ের কোন হেলদোল নেই। একই দৃশ্য নজরে এলো ধর্মনগর স্থিত উত্তর জেলা হাসপাতালেও। দূর দূরান্ত থেকে হাসপাতালে আশা লোকজন হাসপাতালের সম্মুখে ভিড় করে চলেছেন।নেই কোন সোশ্যাল ডিস্টেন্স।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন সফল করতে পুলিশি অভিযান সিউড়ীতে
আবার কারো কারো মুখে নেই মাস্ক। একই জায়গায় ভিড় জমানো জনগণদের সারি বদ্ধভাবে দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড় করানোর বিষয়ে ধর্মনগর হাসপাতালে কর্তব্যরত বেসরকারি সিকিউরিটিদের ভূমিকাও ছিল শূন্য। তবে বলাবাহুল্য বেসরকারি কোন হাসপাতালে কর্তব্যরত সরকারি তথা ত্রিপুরা পুলিশের কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদেরও কোন হেলদোল ছিল না।
বর্তমানে উত্তর জেলা অরেঞ্জ জোনে রয়েছে। এই অবস্থাতেও ধর্মনগর শহরে প্রতিনিয়তয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে সরকারি নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই যানবাহনে যাত্রী নিয়ে ছুটছে গাড়ি ও বাইক চালকরা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকায়। এ ভাবেই যদি চলতে থাকে তবে হয়ত রাজ্যের সরকারকে করোনা সংক্রমণ রোধ একটা সময় সমস্যায় পরতে হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584