শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা হাসপাতাল চালু হওয়ার পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বড় ভরসা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন। কারণ এখানকার ল্যাবেই করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করে তবেই ভর্তি নেওয়া হবে হাসপাতালে।
কিন্তু শনিবার ফের এক সিসিইউ সাফাই কর্মী এবং এক চিকিৎসাধীন রোগীর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ মিলেছে বলে খবর। এদিকে মানিকতলা থানার এক মহিলা সাব ইনস্পেক্টর এবং আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের এক কর্মীরও করোনা পজিটিভ এসেছে।
এদিকে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এদিনের ঘটনা নিয়ে ৯ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এল। ইতিমধ্যেই চিকিৎসক, নার্স-সহ ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যার ফলে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে উঠছে। জানা যাচ্ছে, ট্রপিক্যালে এই মুহূর্তে ৯ চিকিৎসক, ৩ টেকনিশিয়ান, ২৮ জন কর্মী কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। যদি পরিষেবা ব্যহত হবে না বলেই দাবি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যকে মসুর ডাল দেবে না, জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থা নাফেড
উল্লেখ্য, শনিবারই বন্ধ হয়ে যায় শহরের আরও এক হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন সেবা সদন। দুই ব্যক্তির শরীরে করোনা পজেটিভ মেলায় সেখানকার চিকিৎসক এবং নার্স মিলিয়ে প্রায় ৩০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়
এছাড়াও জানা গিয়েছে, রবিবার মানিকতলা থানার এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকে ডিসান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর ৪ দিন ধরে জ্বর ও কাশি মাথা ধরার উপসর্গে ভোগার পর হাসপাতালে ভর্তি হন।
বেলেঘাটা নাইসেডে লালারস পরীক্ষা পর ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের আবাসন আলিপুর বডিগার্ড লাইনসেও একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
যার জেরে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বডিগার্ড লাইনসের একাংশ আজ সিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিন পর্যন্ত শহরের তিনটি থানার আধিকারিক-সহ বাহিনীর ১৩ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584