নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে শনিবার রায় ঘোষণা করে আলিপুর জেলা আদালত। মূল অভিযুক্ত নূর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
খুন ও গুরুতর আঘাত সহ ভারতীয় দন্ডবিধির ২৭৩/৩০২/৩২৬/৩২৮ ধারা এবং ৪৬এ বিই আইন অনুযায়ী তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। আগামী ২ অগাস্ট, সোমবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করবে আদালত। ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিষমদ খেয়ে মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩৭৫ জনেরও বেশি মানুষ। রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয় এই ঘটনায়। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। কোনরকম দেরি না করে তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয় সিআইডির হাতে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে মামলা শীর্ষ আদালতে, হাজির হলেন না কেন্দ্রের আইনজীবী
এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে মগরাহাট এবং উস্তি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপর তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিআইডি। তদন্তে প্রকাশ হয়, যে চোলাই মদ খেয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেই চোলাই মদ তৈরির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল কুখ্যাত ডন নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা। ২০১৮ সালে এই ঘটনায় প্রথম রায় ঘোষণা হয় উস্তি থানার মামলায়। তখনও খোঁড়া বাদশা সহ আরো ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
আরও পড়ুনঃ পেগাস্যাস কাণ্ডে সুপ্রীম কোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে, জানালেন প্রধান বিচারপতি
সিআইডির তরফে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন শ্রী শিমুল সরকার। তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করেন সিআইডির আরো বেশ কয়েকজন আধিকারিকের একটি বিশেষ দল। সেই দলের অন্যতম সদস্য শ্রী সৌগত ঘোষ বর্তমানে পুরুলিয়া জেলার বরা বাজার থানার আইসি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584