নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
নির্ভয়া গণধর্ষণ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার জন আসামীকে ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্ট ফাঁসির সাজা দিয়েছে। এবার আসামীদের মৃত্যুর পর তাদের অঙ্গদান করার আবেদন জানালেন এনজিও সংস্থা- ‘র্যাকো’র প্রতিষ্ঠাতা রাহুল শর্মা। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল ঠিকই কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত শুক্রবারে হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাহুল শর্মা আদালতে আবেদন জানান, তিনি চার সাজাপ্রাপ্ত দোষীর সঙ্গে কথা বলে তাদের অঙ্গদানের অনুরোধ জানাতে চান। এতে কিছু মানুষ যেমন নতুন অঙ্গ পেয়ে জীবন ফিরে পাবেন তেমনই আসামীদের পরিবার সামান্য সান্ত্বনা পাবেন এই ভেবে, ঘৃণ্যতম অপরাধের পরেও শেষ মুহূর্তে তারা ভালো কিছু কাজ করে গেছে।
আরও পড়ুনঃ বেনারসের সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে গোহারা হার এবিভিপি-র
৭ জানুয়ারি দিল্লি আদালত অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা শোনায়। চার আসামী বিনয়, পবন, মুকেশ আর অক্ষয় সিংকে আদালতের নির্দেশ মেনে ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহার জেলে ফাঁসি দেওয়া হবে।
স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার আইনজীবী ঋষি কাপুর, শিবম শর্মা এবং অঙ্কুর গোগিয়া আদালতের কাছে আবেদন জানান যে মনোবিদ, আধ্যাত্মিক গুরু ও আইনজীবীদের নিয়ে আসামীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা আসামীদের বোঝাতে চান, তারা যে ভয়ঙ্কর ক্ষমাহীন অপরাধ করেছে, তা কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে অঙ্গদানের মতো মহৎ কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে। এই অঙ্গদান প্রক্রিয়া সমাজে নজিরবিহীন উদাহরণ তৈরি করবে।
আরও পড়ুনঃ দেশপ্রেমী দীপিকার দেশদ্রোহী তকমাই জেএনইউয়ের আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করছে, দাবি কানহাইয়ার
তবে অনেকেই বলছেন ধর্ষকের অপরাধ কোনওকিছুতেই লঘু হয় না। অঙ্গদান নিঃসন্দেহে এক মহৎ কার্য, কিন্তু ধর্ষকরা অঙ্গদান করলেই যে তাদের কর্মকাণ্ডকে লঘু করে দেখা হবে তা কখনওই নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584