নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
বেজিং-এ শি জিনপিং সরকার ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে ‘চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর’(CPEC) নিয়ে ‘ইনডাস্ট্রিয়াল কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট’নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হল শুক্রবার। পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য ২০১৩ সালে উদ্যোগী হয় চীন। উল্লেখ্য, সংসদের বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি প্রসঙ্গে সতর্কও করেন মোদী সরকারকে।
শীতকালীন অলিম্পিক্স উপলক্ষে চারদিনের চীন সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বেজিং-এ চীনের শীর্ষস্তরের আমলা, আধিকারিক ও মন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেন ইমরান। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রধান পরিকল্পনা কমিশনের (NDRC) চেয়ারম্যান হি লিফেং। পাকিস্তানে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে হি লিফেং ও ইমরান খানের মধ্যে দীর্ঘসময়ের একটি বৈঠকও হয়।পাকিস্তানের রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মহম্মদ আজফার এহসান এবং হি লিফেংয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংককের অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসে মহিলাদের শৌচাগারে স্পাই ক্যামেরা, ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ প্রাক্তন কর্মী
তবে সিপিইসি প্রকল্প নিয়ে ২০১৩ সালেই বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি দেয় ভারত সরকার। এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত একটি রাস্তা গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। তাতেই আপত্তি ভারতের। এই পদক্ষেপ দেশের সার্বভোউমত্বের উপর আঘাত বলেই জানায় ভারত সরকার।
ভারতের বিরোধিতা সত্বেও সিপিইসি প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চীন। তবে এই প্রকল্পের যে বিপুল খরচ তার ফলে ক্রমে চীনের কাছে ঋণের বোঝায় চাপা পড়তে চলেছে ইসলামাবাদ, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584