নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সিএএ-র বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মণিপুরের সিপিআই রাজ্য সভাপতি সোতিনকুমারকে। জানা গেছে, ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ১৫ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
নামবোল পুলিশ স্টেশনের সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) এ কে শান্তিকুমার জানিয়েছেন, ১৯ ডিসেম্বর সিএএ-র বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডাকার দাবিতে পুলিশ সোতিনকুমারকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, সোতিনকুমার যে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন, তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্ধৃতিকে হাতিয়ার করেই মণিপুর পুলিশ একটি সতর্কতা জারি করেছিল। কিন্তু সেই সতর্কতা অগ্রাহ্য করেই ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছিল সিপিআই, সিপিআই (এম), আরএসপি এবং এআইএফবি– বামপন্থী দলগুলি।
আরও পড়ুনঃ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএএ-র প্রতিলিপি ছিঁড়লেন যাদবপুরের ছাত্রী
ইম্ফল পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ধর্মঘটের পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় সিপিআই এর রাজ্য সভাপতি সোতিনকুমারকে। শনিবার ইম্ফলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) সোতিনকুমারের জামিন মঞ্জুর করার পর তাঁকে ফের গ্রেফতার করে নামবোল পুলিশ।
তাঁকে পুনরায় গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে নামবোলের এসডিপিও জানান যে প্রশাসনের তরফে ধর্মঘট ডাকা বাম দলগুলির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়েছে। তাই শুধু নামবোল নয়, অন্যান্য থানাতেও একই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ফলত অন্যান্য থানার পুলিশও সোতিনকুমারকে আবার গ্রেফতার করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কেশিয়াড়িতে দ্রুতগতির ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু বাইক আরোহীর
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পূর্ব ইম্ফলের পরমপাত থানা এবং থৌবলের লিলং থানা সোতিনকুমারকে পুনরায় গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বর্তমানে ইম্ফলের জওহরলাল নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের সিকিউরিটি ওয়ার্ডে রয়েছেন। তাঁর এই গ্রেফতারের নিন্দা করে ইতিমধ্যেই বাম দলগুলি শর্তহীন মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584