উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
সোমবার ফের আসন রফা নিয়ে বৈঠকে বসেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন বৈঠকে ছিলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়।
এদিন এই বৈঠক থেকেই কোন শিবিরের হাতে কত আসন থাকবে তা চূড়ান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সন্ধ্যা পৌনে ছটা পর্যন্ত কোনো পক্ষ স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ৯২ টি আসন ছেড়েছিল বামেরা। এবার আগের বৈঠকে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী শুরুতেই ১৩০ আসন দাবি করায় অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাম নেতৃত্ব। দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। কোনরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা হবে বলে দুইপক্ষকে নিরস্ত করেন তিনি।
অন্যদিকে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে গোল বেধেছে বাম শরিকদের। কংগ্রেসের যে নির্বাচন কমিটি গঠন হয়েছে চার সদস্যের সেই কমিটির অন্যতম বিধায়ক নেপাল মাহাতো জানিয়ে দেন পুরুলিয়ায় ফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লককে একটি আসনও ছাড়তে নারাজ তাঁরা। তাঁর এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। নেপাল মাহাতোর এমন দাবি অবাস্তব এবং তারা তা মানবেন না বলে ফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার বৈঠক হবে। আগেই ঠিক হয়েছে কে কোন জেলায় কটি আসনে লড়তে চায় সেই তালিকা তৈরি করে নিয়ে আসবে। তারপর আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আসন ধরে ধরে আলোচনা হবে বলে জোট সূত্রে খবর। এই বৈঠক থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে ফের ২৮ তারিখে বৈঠকে বসবে দুই শিবির। সূত্রের খবর, কংগ্রেসকে আসন ছাড়ার ব্যপারে অনেকটাই নমনীয় বামেরা। ১১০টি পর্যন্ত আসন ছাড়তে রাজি আছেন।
আরও পড়ুনঃ আরও তীব্র কৃষক আন্দোলন, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানস্থল বদলে ফেললেন খট্টর
অন্যদিকে, বৈঠকে বসে অধীর চৌধুরীরা যতই হম্বিতম্বি করুন না কেন, তাদের উপরে হাইকমান্ডের চাপ রয়েছে বলে খবর। ৩০শে জানুয়ারির মধ্যে বামেদের সঙ্গে আসনরফা চূড়ান্ত করতে হবে বলে প্রদেশ নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকমান্ড। আসনরফা করতে গিয়ে যদি কোনও জটিলতা তৈরি হয়, তাহলে হাইকমান্ড বাম শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে জটিলতা কাটাবে।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের এহেন মনোভাব চাপে ফেলে দিয়েছে প্রদেশ নেতৃত্বকে। পাশাপাশি সোমবারের বৈঠক থেকে ব্রিগেড সমাবেশের দিন চূড়ান্ত হওয়ার কথা। সমাবেশে গান্ধী পরিবারের কোনও একজন সদস্য ছাড়াও সর্বভারতীয় স্তরে কোন কোন নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হবে। তামিলনাড়ুর নেতা এম কে স্ট্যালিন, যুবনেতা কানাইয়া কুমার, লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে আলিমুদ্দিন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584