শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে বিজেপি নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেললেও পিছিয়ে নেই রাজ্যের এক সময়ের শাসক দল সিপিএম। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে মুছে গিয়েছিল প্রাক্তন শাসক দল। একমাত্র যাদবপুর ছাড়া রাজ্যের সমস্ত জায়গায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। এবার প্রত্যাবর্তনের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে এবার সাইকেলকেই অস্ত্র করতে চাইছে সিপিএম।
এক ভার্চুয়াল কর্মসূচিতে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘আন্দোলনে নতুন ধারা আনতে হবে, নিউ নর্মাল হতে হবে। আন্দোলনের নতুন আঙ্গিক বার করতে হবে। একসঙ্গে এত লোক মিলে কিছু করা যাবে না। কিন্তু ৫০০-৭০০ জন মানুষ যদি সাইকেলে করে মিছিল করে ? সাইকেলে তো কেউ কাছাকাছি থাকে না, যথেষ্ট দূরে থাকে।”
লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই বেশ কিছু কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে সিপিএম। রেড রোডে সামাজিক দূরত্ব মেনেই বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ দেখিয়েছে তারা। কিন্তু লকডাউন ভাঙার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের খোঁজ রাখতে শুরু ‘কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’
লকডাউন পরিস্থিতিতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভার্চুয়াল রাস্তায় হেঁটেছে আলিমুদ্দিনও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, রাজ্য কমিটির পাশাপাশি অন্যান্য বৈঠকও ভার্চুয়ালি করেছে দল। অন্যান্য দলের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে পাল্লা দিতে আর সময় নষ্ট না করে আন্দোলনের পথে নেমে পড়তে বামেরা।
আরও পড়ুনঃ জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর হলেন মনোজ সিনহা, পদত্যাগ করলেন জিসি মুর্মু
লকডাউন পরিস্থিতিতে খরচ এবং নিরাপত্তার জন্য সাইকেলের প্রতি নির্ভরযোগ্যতা বেড়েছে মানুষের। নতুন করে বাজারে বেড়ে গিয়েছে সাইকেলের চাহিদা। কলকাতার রাজপথে সাইকেলের জন্য আলাদা লেনের দাবিও তুলেছিলেন সাইকেল প্রেমীরা। সেই দাবিও মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন রাজনৈতিক আন্দোলনে সাইকেলের ব্যবহার নিঃসন্দেহে এই দূষণহীন যানটিকে অন্য মাত্রা দিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584