নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
অসম নির্বাচনে বিজেপির ‘সংকল্প পত্রে’ সিএএ-র মাধমে শরণার্থী বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঢালাও প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অসমের শাসক দল যে আদৌ বাঙালিদের পাশে নেই, ফের তার প্রমাণ মিললো ভোট মিটতেই। দফার ভোট পর্ব মিটে যেতেই আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে হিন্দু বাঙালিদের গায়ে সন্দেহভাজন নাগরিক বা “ডি” ভোটার তকমা লাগিয়ে দেওয়ার কাজ। ভোটের ফল প্রকাশ অব্দি ধৈর্য ধরতে রাজি নয় শাসক দল।
এবার সন্দেহজনক নাগরিক হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার কায়দাটা একটু আলাদা। বাড়ি বাড়ি নোটিশ পৌঁছে দেওয়া তো হচ্ছেই, পাশাপাশি বাড়ির সামনের লাইট পোস্টে, দেওয়ালে যেখানে যেখানে সম্ভব সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ।অসমের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো এই তালিকায় অধিকাংশ নামই হিন্দু বাঙালিদের। যদিও ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ ছোট, বড়, মাঝারি সব বিজেপি নেতাই বিপুল আশ্বাস দিয়েছিলেন হিন্দু বাঙালিদের, বিশেষত ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব ও সুরক্ষা প্রদানে বিজেপি সরকার প্রতিশ্রতিবদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ এক দফায় ভোট করার দাবি নাকচ কমিশনের, করোনা বিধি মেনেই চলবে প্রচার
ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে যখন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্টমন্ত্রীরা হিন্দু বাঙালিদের নাগরিকত্ব,সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন, তখনই দিল্লি থেকে হিন্দু বাঙালিদের নামে “ডি’ নোটিশ জারি করার পর্ব সমান্তরালভাবে চলছে। ভোট চলাকালীন নিম্ন অসমের বেশকিছু এলাকায় ‘ডি’ নোটিশ জারি হয়েছে তবে তা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। আর ভোট মিটে যেতেই রমরমিয়ে শুরু হয়েছে ‘ডি’নোটিশ জারির কাজ।
অসম থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এমন অনেককে ভোটের পরেই ‘ডি’ নোটিশ পাঠানো হয়েছে যাঁরা এবারের সদ্য সম্পন্ন নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন। সারা অসম বাঙালি ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক অমৃতলাল দাস জানিয়েছেন, ভোট পর্ব মিটে যেতেই অসমে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘ডি’ নোটিশের ত্রাস। দত্ত-সাহা-রায়-ঘোষ-মালাকার-দেব প্রভৃতি পদবী দেখলেই ‘ডি’ নোটিশ দেওয়ার ভয়ংকর প্রবণতা শুরু হয়েছে অসমে। কিন্তু এব্যাপারে প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে রাজ্য বিজেপি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584