শুভম বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাঃ
হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার জন্য আটকে রাখা হয়েছিল দেহ। নিয়ম মেনে দেহ রাখা হয়েছিল হাসপাতালে মর্গে । কিন্তু সবকিছু মিটিয়ে যখন পরিবারের লোকজন দেহ হাতে পেলেন তখন দেখলেন বেমালুম পাল্টে গিয়েছে তাদের রোগীর দেহ।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদা বিআরসিং হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে এই কথা স্বীকার করে নিল আসল রোগীর দেহ কোথায় তা খুঁজে বার করতে পারেননি। বিরক্ত হয়ে রোগীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছেন নারকেলডাঙ্গা থানায়।
পারিবারিক সূত্রে খবর, হাওড়ার ডুমুর জেলা স্টেডিয়ামের কাছে দালাল পুকুরের বাসিন্দা কল্পনা ভকত কিডনি সংক্রান্ত অসুস্থতা নিয়ে ১ আগস্ট শিয়ালদা বিআরসি হাসপাতালে ভর্তি হন। দুদিন হাসপাতালে ডায়ালিসিস চলার পর ৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ খরচ নিয়ে সমস্যায় বাড়ি থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ বন্ধ শহরে
কল্পনা দেবীর জামাইবাবু অশোক গুপ্ত বলেন, ওনার শারীরিক অবস্থা প্রথম থেকেই খারাপ ছিল। সোমবার রাতেই উনি মারা যান। কিন্তু মৃতের করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য দেহ আটকে রাখা হয়। নিয়মের খাতিরে আমরা সেটা মেনে নিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত আত্মীয়কে ভর্তি করতে গিয়ে নাকাল চিকিৎসক, বাধা আবাসনেও
অশোক বাবু জানান শুক্রবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় রিপোর্ট নেগেটিভ এরপরে পরিবারের হাতে কল্পনা দেবীর মৃতদেহ তুলে দেয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয় সেইমতো সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে কল্পনা দেবীর পরিবার হাওড়া থেকে শিয়ালদার হাসপাতালে চলে আসেন।
কিন্তু দেহ হস্তান্তরের সময় দেখা যায় সেটি শীলা সেনগুপ্ত নামে অন্য কারোর দেহ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পুরসভার গাফিলতিকেও দায়ী করেছে। হাসপাতালে দাবি দেহগুলি ঠিকঠাকভাবে রাখার দায়িত্ব ছিল পুরসভার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত ভুল স্বীকার পত্র পেয়ে পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584