নিউজ ডেস্ক, দিল্লিঃ
দিল্লির আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দেবেন্দ্র শর্মা, একাধারে চিকিৎসক, জাল এলপিজি এজেন্ট, আন্তঃ রাজ্য কিডনি বিক্রি চক্রের পান্ডা গ্রেপ্তার পুলিশের হাতে। ডাঃ শর্মার হাতে খুনের সংখ্যা শতাধিক। যদিও পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন খুনের সংখ্যা ৫০ ছাড়ানোর পরে আর তাঁর পক্ষে হিসেব রাখা সম্ভব হয়নি।
খুনি ডাক্তারবাবুর প্রথম দিকের শিকার ছিল হাইওয়েতে রাতের ট্রাক এবং ট্যাক্সি ড্রাইভাররা। খুন করার কারণ ছিল তাঁদের ট্রাক এবং ট্যাক্সি ভিন রাজ্যগুলোতে বিক্রি করে দেওয়া। তারপর মৃতদেহগুলিকে ফেলে দিতেন উত্তরপ্রদেশের এক নদীর খাঁড়িতে, যেখানে কুমীর ভর্তি, স্বাভাবিক ভাবেই আর অপরাধের কোন প্রমাণ থাকতো না।
আরও পড়ুনঃ বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
১৯৯৫ সালে তিনি প্ৰথম গ্রেফতার হন আলিগড়ে একটি জাল গ্যাস এজেন্সি চালানোর অপরাধে, ছাড়া পাওয়ার পর ২০০১-এ আবার একই অপরাধ করেন আলমোরাতে, তখনো খুনের ঘটনাগুলি সামনে আসেনি। এরপরে খুনের অপরাধে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা আপডেট: ২রা আগস্ট
জানুয়ারী ২০২০ তিনি ২০ দিনের জন্য প্যারোলে ছাড়া পান। তখনই পালিয়ে যান এবং দিল্লি পুলিশ তাঁদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় হঠাৎ করেই গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় যে উনি রয়েছেন বাপরোলা গ্রামে যা দিল্লি থেকে কিছুটা দূরে। সেখান থেকেই পুলিশ এই চিকিৎসককে পুনরায় গ্রেফতার করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584