নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
দিল্লির নিজামুদ্দিনে গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া তবলিঘি জামাতের এক ধর্মীয়সভায় অংশগ্রহণকারী বহু তবলিঘি সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর থেকে সরকারের রোষের মুখে পড়ে সংগঠনটি। তবলিঘি জামাতে যোগদানকারী ৩৬ জন বিদেশিকে অবশেষে খালাস করল দিল্লির আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, কোভিড আবহে বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করে তাঁরা নিজামুদ্দিনের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। দিল্লির চিফ মেট্রোপোলিটান ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কুমার গর্গ ১৪টি দেশের ওই ৩৬ জনকে খালাসের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের সমস্যার সমাধান না হলে অনশনে বসবেন আন্না হাজারে
এইসব বিদেশিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (১৮৯৭ সাল )১৮৮,২৬৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। এছাড়াও চার্জ গঠন করা হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও (২০০৫)। সমস্ত অভিযোগ থেকেই এ দিন মুক্ত করা হয়েছে ৩৬ জন অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের মানুষ বিজেপির নাটক বুঝতে পেরেছেন- মমতা
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের একটি ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অংশগ্রহণকারী বহু তবলিঘি সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর থেকেই সংগঠনটি সরকারের রোষের মুখে পড়ে। বম্বে হাইকোর্ট নিজামুদ্দিন মারকাজের ধর্মসভায় যোগ দেওয়া বিদেশি তবলিঘি জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা খারিজ করে দেয়।
বম্বে হাই কোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল,“পুলিশ রাজনৈতিক চাপে পড়ে ওই জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। বিদেশিদেরই বলির পাঁঠা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।” কিন্তু তারপরেও রাজ্যসভায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় “তবলিঘি জামাতের সভা থেকে বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবলিঘি জামাতের বিদেশি সদস্যদের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রশাসনকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584