নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে দিল্লি হাইকোর্ট ১৫ জানুয়ারি বেল দেওয়ার পরে নির্বাচনের কাজের প্রয়োজনে দিল্লি সফরের অনুমতি দেয়। হাইকোর্ট আরও জানায় যে ভোটের প্রচারে গেলে চন্দ্রশেখরকে তার দিল্লি সফরের কথা ও ভোটের কার্যপ্রণালী ডিসিপিকে জানাতে হবে।
আবেদনপত্র অনুযায়ী হাইকোর্ট চন্দ্রশেখরকে দিল্লিতে নির্দিষ্ট ঠিকানা বেঁধে দিয়েছিল বসবাসের। টিস হাজারি কোর্টের অতিরিক্ত বিচারক কামিনী লাউ আজাদের আবেদনপত্র দেখে জানিয়েছিল দিল্লিতে তাঁর উপস্থিতি কোনও বিপত্তি ঘটাবে না বলেই আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সহস্রাধিক বসতি উচ্ছেদ বেঙ্গালুরুতে, বাসিন্দাদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর তকমা প্রশাসনের তরফে
আইনজীবী মেহমুদ প্রাচা এবং ওপি ভারতী আবেদন করেন যে আজাদ কোনও দুষ্কৃতী নয়, তিনি একজন সমাজকর্মী। তাই তাঁর উপর এই ধরনের বিধিনিষেধ চাপানো অগণতান্ত্রিক। বিচারকরা জানায়, ভারতবর্ষের মতো দেশে নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক মহোৎসব। তাই আজাদের উপর আরোপিত বিধিনিষেধগুলি তার ভিত্তিগত ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে হ্রাস করে।
আজাদের দিল্লিতে থাকার নতুন শর্তগুলি হলঃ
- শনিবার আজাদ দিল্লি ডিসিপি-র উপস্থিতিতেই শহরে থাকবেন(পূর্বতন শর্ত অনুযায়ী তাঁকে সাহারণপুর স্টেশন হাউস অফিসারের সান্নিথ্যে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল)।
- দিল্লি বা সাহারণপুর ছাড়া অন্য কোনও অঞ্চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আজাদকে ফোন বা মেইলে সেকথা জানাতে হবে ডিসিপিকে।
- আদালত আজাদের বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিরূপ মন্তব্য প্রকাশের অভিযোগ নাকচ করে। এমনি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরে কোনও ঘৃণ্য মন্তব্য করার অভিযোগ উল্লিখিত ছিল না।
পাশাপাশি আজাদের নামে আনা একাধিক অভিযোগই বেল পাওয়ার যোগ্য বলে জানায় আদালত। তাছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ পাওয়া যায়নি আদালতের তরফে।
আদালত নথিভুক্ত করে যে আজাদের নামে আইনি বিরোধিতা, জাতীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা লঙ্ঘন– এই জাতীয় কোনও অভিযোগ আনা যায় না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584