হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ! রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশ, পিছিয়ে নেই মুম্বাই ও কলকাতাও

0
71

শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ

দেশজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশের রাজধানী শহর দিল্লি এবং বাণিজ্য নগরী মুম্বাই সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোয় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশ জুড়ে নতুন করে ২২ হাজার ৭৭৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

Covid test
প্রতীকী চিত্র

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোয় দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই ও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা উল্লেখযোগ্য।

দেশের বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাসের পর শনিবার দিল্লিতে করোনাভাইরাস শনাক্তে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এদিন শনাক্ত ৫০ শতাংশ বেড়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭১৬ জন। শনাক্তের হার প্রায় ৩ দশমিক ৬৪। এ সময় করোনায় সংক্রমিত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২১ মে দিল্লিতে এক দিনে তিন হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়।

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন শনিবার বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে সেখানে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দরকার কি না, সেটি পর্যালোচনা করা হবে। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এখনো উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোগী। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ৯৫০ জনকে পাওয়া গেছে রাজ্যের রাজধানী কলকাতায়। রাজ্যটিতে এ পর্যন্ত অমিক্রনে আক্রান্ত ১৬ জন রোগী পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুনঃ এখন থেকে ভোটার কার্ড করতে লাগবে আধার নম্বর! এমন বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

এমন পরিস্থিতিতে কলকাতার ১৭টি আবাসিক এলাকাকে ‘মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কলকাতা পৌর করপোরেশন। যে এলাকায় পাঁচজনের বেশি বাসিন্দার মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে, সেসব এলাকা এই জোনের আওতাভুক্ত। করোনা সংক্রমণ রোধে এসব এলাকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ এলাকা ছেড়ে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৪ হাজার পার, কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২,৩৯৮

পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, সংক্রমণ বাড়লে রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা।

গত বছর করোনার ভয়াবহ কবলে পড়েছিল গোটা দেশ। ডেলটা ধরনের কারণে সংক্রমণের সর্বোচ্চ সময় দেশে দৈনিক প্রায় ৪ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তবে এর পর থেকে নতুন রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১০ হাজারের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় অমিক্রন ধরন হওয়ার পরে আবারও দেশে করোনার নতুন এ ধরন শনাক্ত হয়। এর পর থেকেই দেশজুড়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here