নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন কৃষক আন্দোলনের পারদ ক্রমশ চড়ছে। এবার কয়েক হাজার কৃষকদের মিছিল রাজস্থান থেকে দিল্লির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দিল্লি পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার জয়পুর জাতীয় সড়ক নম্বর ৮ অবরোধ করতে পারেন কৃষকরা।
গুরগাঁও এর সঙ্গে সংযোগকারী ওই সড়ক অবরুদ্ধ হলে তৈরি হবে তীব্র যানজট। কৃষকদের ছক ভেস্তে দিতে তৎপর দিল্লি পুলিশ প্রচুর বাহিনী মোতায়েন রেখেছে সীমান্তে।একাধিক বৈঠক-আলোচনাতেও জট কাটেনি, তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। তিন সপ্তাহ যাবৎ চলছে সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের অবস্থান। শনিবার চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা, আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে কৃষক নেতারা অনশনে বসবেন এমনটাই জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুনঃ চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের পাশে আইপিএস অফিসার
অন্যদিকে বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের আন্দোলন থেকে সরাতে না পেরে এবার চিরপরিচিত মাওবাদী-নকশাল তত্ত্ব শোনাতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাকৃষক নেতা কানওয়ালপ্রীত সিং পান্নু জানিয়েছেন, সরকার যদি সদর্থক কোনো আলোচনা চায় তাহলে কৃষকদের মূল দাবিটি মানতে হবে। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবি পূরণ নাহলে কোনও কথা নয়।
আরও পড়ুনঃ নয়া তিন কৃষি আইনের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন
কৃষকদের আশ্বস্ত করতে শনিবার আসরে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন কৃষকদের কল্যাণের জন্য সরকার দায়বদ্ধ এবং এই নয়া আইন কৃষকদের বিকল্প বাজারে ফসল বিক্রি করে আয়ের বৃদ্ধির পথে সহায়ক হবে।একদিকে তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিদ্রোহের পারদ যখন ক্রমশ চড়ছে, এমন সময়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
তিনি বলেন, এটা আর কৃষক বিক্ষোভ নেই, এতে বামপন্থী ও মাওবাদীর সব ঢুকে পড়েছে, শনিবার এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন গোয়েল। তবে, এর বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থা নেবে কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584