মণিকা বাত্রার জয়! জাতীয় টেবিল টেনিসে গড়াপেটার অভিযোগে অভিযুক্ত তৎকালীন কোচ সৌম্যদীপ রায়

0
61

শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ

ক্রিকেটীয় ধাঁচে এবার গড়াপেটার ছোঁয়া ভারতীয় টেবিল টেনিসে। আজ দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এল। গড়াপেটা কান্ডে দোষী সাব্যস্ত হলেন জাতীয় দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়। দেশের অন্যতম মহিলা টেনিস খেলোয়াড় মণিকা বাত্রার করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। এই ঘটনায় তিনি কড়া শাস্তি পেতে পারেন বলে ক্রীড়া মহলের ধারণা। পাশাপাশি টেবিল টেনিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার এক্সিকিউটিভ কমিটিকে ছয়মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির কার্য পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি কোর্ট।

Manika Batra Soumyadeep Roy
মণিকা বাত্রার করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত সৌম্যদীপ রায়

গতবছর মণিকা বাত্রার করা মামলায় রায় দিল কোর্ট। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে মামলা দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ ছিল, জাতীয় দলের সে সময়ের কোচ সৌম্যদীপ রায় মণিকাকে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের একটি ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেন। কারণ এই ম্যাচ মণিকা হারলে সৌম্যদীপের প্রশিক্ষণে খেলা আর এক খেলোয়াড় সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের টোকিও অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন করা সহজ হত। আর মণিকার অভিযোগ গড়াপেটা করে সুতীর্থাকে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য সুতীর্থার সাথে গোপন আঁতাত ছিল সৌম্যদীপের।
এই ঘটনায় জল বহু দূর গড়ায়। এই ঘটনার পর অলিম্পিক সিঙ্গলসে মণিকা সৌম্যদীপের অধীনে খেলতে নাকচ করেন।

তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, গত কয়েক মাস আগে আগে যে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দেয়, এমন ব্যক্তির অধীনে তিনি খেলবেন না। এছাড়াও এমন ব্যক্তির অধীনে কোচিং করলে মানসিকভাবে খেলায় পুরোপুরি মনোসংযোগ করতে পারবে না। এমন বিরুদ্ধাচারণ এর জন্য মণিকাকে জাতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন শোকজ করেন। এই সমস্ত ঘটনার পর মণিকার ব্যক্তিগত কোচ সন্ময় পরাঞ্জাপের অধীনে কোচিং করার অনুমতি দেন। তবে ম্যাচ চলাকালীন এই কোচের প্রবেশাধিকার ছিল না।

আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মত যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারতীয় যুব দল

অলিম্পিকের পর এশিয়ান টেবিল টেনিসেও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি মণিকা বাত্রা। যদিও মণিকা বাত্রা সেই সময়ে তার ফর্মের সেরা পর্যায়ে ছিলেন। সেই সময় বিশ্ব টেবিল টেনিস ক্রমতালিকায় ছয় ধাপ উপরে উঠে ৫০ নম্বরে আসেন। এছাড়াও মিক্সড ডাবলসে একাদশ স্থানে উঠে আসেন। এরপরও যখন জাতীয় দলে সুযোগ পেতে ব্যর্থ হন, তখনই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। অবশেষে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে মণিকার এক বিশাল জয় হলো।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here