নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
উমর খালিদের কোনোরকম ক্ষতি যাতে জেলের ভিতরে নাহয় তার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়ার আদেশ দিল দিল্লির আদালত।
জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা উমর খালিদকে, ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় ইউএপিএ ধারায় গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে রাখার পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেব সারহা।
উমর খালিদ তাঁর আইনজীবী ত্রিদিপ পাইসের মাধ্যমে আদালতে আবেদন জানান, তাঁকে যেন জেলে যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া হয় যাতে অন্য কারুর দ্বারা তিনি শারীরিক নিগ্রহের শিকার না হন।
আরও পড়ুনঃ উত্তেজনা এনআরএসে, গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের
শ্রী ত্রিদিপ পাইস আবেদন করেন, উমর খালিদকে তাঁর আত্মীয় পরিজনের সাথে যোগাযোগ রাখতে দেওয়া হোক জেলের নিয়ম অনুযায়ী। এই আবেদনে খালিদ জানিয়েছেন তিনি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে কোনো বয়ান বা অন্য কোনো কাগজপত্রে সই করেননি।
উমর খালিদের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেছেন তাঁকে যেন তাঁর আইনজীবীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে অনুমতি দেওয়া হয় সপ্তাহে অন্তত দুদিন, অন্তত ৩০মিনিট আলোচনার সুযোগ যেন দেওয়া হয় প্রতিবার এবং তা অবশ্যই জেল আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে।
আরও পড়ুনঃ হাথরাস কাণ্ডে ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট মূল্যহীন, দাবি চিকিৎসকের
খালিদ চেয়েছেন তাঁকে তাঁর হেডফোন দেওয়া হোক, কারণ আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা তিনি গোপন রাখতে চান এবং সিসকো ওয়েবএক্স প্ল্যাটফর্ম এ স্ক্রিন শেয়ার করার অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁকে বাইরে থেকে বিভিন্ন বই পত্র আনার অনুমতি দেওয়া হোক এই মর্মেও আবেদন করা হয়েছে, তা যে সবসময় তাঁর পড়াশোনার বিষয় সংক্রান্ত হবে এমন নয়।
আদালত জেল সুপারিনটেনডেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলের নিয়ম অনুযায়ী এই আবেদনের মধ্যে যা কিছু দেওয়া সম্ভব তা যেন উমর খালিদকে দেওয়া হয়। ২২ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সলমন রুশদি, অরুন্ধতী রায়, নোয়াম চমস্কি এবং অন্যান্য বহু সমাজ কর্মী উমর খালিদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584