দিল্লি দাঙ্গার এক বছর অতিক্রান্ত, অর্ধেকের বেশি মামলার তদন্ত আজও অসম্পূর্ণ

0
79

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

blast incident | newsfront.co
দাঙ্গায় ভস্মীভূত।ছবিঃ বিবিসি

২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। সেই দাঙ্গার একবছর পেরিয়ে গেলেও অর্ধেকের বেশি মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলেই সংবাদে সূত্রে জানা যায়।

গত ফেব্রুয়ারির দিল্লির দাঙ্গায় অন্তত ৪০ জন মুসলিম ও ১৩ জন হিন্দুর ধর্মালম্বী নিহত হন। এই দাঙ্গায় যে অভিযুক্তদের এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষের সংখ্যায় বেশি।
দাঙ্গাপীড়িতদের অনেকেই এখনও সম্পূর্ণ ভাবে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।

book release | newsfront.co
দিল্লি দাঙ্গার উপর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ছবিঃ হিন্দুস্থান টাইমস

অথচ যে বিতর্কিত বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্ররোচনামূলক বক্তৃতাই দাঙ্গায় প্রধান উস্কানি দিয়েছিল বলে অভিযোগ তিনি কিন্তু চার্জশিটে অভিযুক্ত হননি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র স্পষ্টতই ঘোষণা করেন, তিনি নিজের কৃতকর্মের জন্য আদৌ অনুতপ্ত নন।

locality | newsfront.co
ত্রাণের জন্য দাঙ্গাপীড়িত মহিলাদের লাইন। ছবিঃ হিন্দুস্থান টাইমস

গত ফেব্রুয়ারিতে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজধানী দিল্লির নানা প্রান্তে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়েই ছিল, কিন্তু ২৩ তারিখ থেকেই শহরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে তা পুরোদস্তুর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয়।

arrested | newsfront.co
দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী অভিযোগে গ্রেফতার সমাজকর্মী শার্জিল ইমাম। ছবিঃ বিবিসি
womans  | newsfront.co
দাঙ্গায় ভস্মীভূত শিব বিহার এলাকায় মহম্মদ আরিফের কারখানা। ছবিঃ বিবিসি

ঘটনাচক্রে, দাঙ্গার ঠিক দুদিন পরেই দিল্লিতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। জাফরাবাদ, মুস্তাফাবাদ, ব্রিজপুরী-সহ বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদ-মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলেই সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, যেখানে নিহতদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ছিলেন মুসলিম। প্রায় টানা পাঁচদিন ধরে চলে এই ঘটনা, দিল্লির বিস্তীর্ণ একটা অংশ কার্যত মৃত্যুপুরীর চেহারা নেয়।

আরও পড়ুনঃ কর্ণাটকের পাথর খাদানে বিস্ফোরণ, মৃত ৬

muslim community | newsfront.co
ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া দাঙ্গাপীড়িত মানুষ। ছবিঃ হিন্দুস্থান টাইমস

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছিলেন মূলত তাঁদেরই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বহু ছাত্রছাত্রী ও সমাজকর্মীকে, শারজিল ইমাম, দেবঙ্গনা কলিতা এরা সকলেই দাঙ্গায় উস্কানির অভিযোগেই গ্রেপ্তার হন।

আরও পড়ুনঃ লালকেল্লায় তাণ্ডবের অভিযোগে গ্রেফতার জম্মু কাশ্মীরের কৃষক নেতা

তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তরফে দাবি করা হয়, দিল্লির দাঙ্গায় সামিল ছিল পুলিশও। সেসময় যাঁরা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, মূলত তাঁদেরই দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিশ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here