নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
জেএনইউ-তে হওয়া দুষ্কৃতীদের আক্রমণ এবং ‘ভ্যান্ডালিজম’-র ঘটনার পেছনে জেএনইউ ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া এবিভিপি-র লোকজন ক্যাম্পাসে ঢুকল এবং শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

রবিবার মাঝরাতের পর, ছাত্র সংসদ একটি বিবৃতি জারি করেছে, যাতে বলা হয়েছে, ‘‘যে হিংসা আজ ঘটেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধুদের হতাশার ফলাফল।
কিন্তু, এই ঘটনাক্রম স্পষ্ট করে দিচ্ছে দিল্লি পুলিশের লজ্জাজনক কাহিনি যারা এবিভিপি-র গুন্ডাদের নিরাপদে চলে যেতে সাহায্য করেছিল। প্রশাসন দিনের পর দিন চেষ্টা করেও পড়ুয়াদের প্রতিবাদ-আন্দোলন ভাঙতে পারেনি। তাই, গত ৪ জানুয়ারি থেকে এবিভিপি সমর্থকরা উপাচার্যের পোষা গুন্ডা হিসাবে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’’
আরও পড়ুনঃ এই পুলিশ, তোর উর্দি কোথায়?
ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে চারটি দাবি পেশ করা হয়েছে জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া, দিল্লি বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকদের তরফে। এর মধ্যে রয়েছে জখম শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি।
অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকালের হিংসার ঘটনায় বিভিন্ন জায়গা থেকেই অভিযোগ জমা জমা পড়েছে। চারজনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরও দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ক্যাম্পাসে মুখোশ পরিহিত গুন্ডারা সন্ত্রাস ছড়ানোর পর প্রতিবাদে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী
ঘটনার পর পরই দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলে জেএনইউ-এর বিষয়ে জানতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যুগ্ম কমিশনার পর্যায়ের অফিসারকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঘটনার নিন্দা করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584