নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সাংগঠনিক রদবদলের পর, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই বৈঠকে, কেন্দ্রের নীতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোনিয়া বলেন, “ভারতের গণতন্ত্র সবথেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এখন।” তিনি বলেন, মোদী সরকারের তিনটি কালা আইন ভারতের কৃষি নির্ভর অর্থনীতির সর্বনাশ করে দিচ্ছে।
নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতর ও বাইরে আগে থেকেই প্রতিবাদ করছে কংগ্রেস। রবিবার দলের নেতাদের কাছে সোনিয়া গান্ধী বলেন, সবুজ বিপ্লবের ফলে ভারতে ফসল উৎপাদনের যে সাফল্য তা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে ষড়যন্ত্র করে। এই তিনটি নতুন আইনের ফলে ছোটো চাষী, ভাগচাষী, শ্রমিক সকলের জীবন ও জীবিকা প্রবল সংকটের মুখে। এখন এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে জোটবদ্ধ হওয়া সকলের একান্ত কর্তব্য।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমের জন্য পৃথক নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৈরির আবেদন কেন্দ্রের
সোনিয়া গান্ধী অভিযোগ করেন, দলিতদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ক্রমশঃ বাড়ছে আর অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে বিজেপি তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। করোনা মোকাবিলা নিয়েও এ দিন মোদী সরকারের প্রবল সমালোচনা করেন সোনিয়া।
তাঁর দাবি, ‘নিছক অযোগ্যতা’এবং ‘সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনা’র ফলে দেশের সাধারণ মানুষকে অজস্র সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তাঁর আরও অভিযোগ যে, সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের যে দুরবস্থার মুখে ঠেলে দিয়েছিল মোদী সরকার, তা কোনো পরিস্থিতিতেই ক্ষমার যোগ্য নয়।
কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের অর্থনীতিকে ধারাবাহিক ভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস সভানেত্রীর। তাঁর দাবি, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি মোদী সরকারের আচরণ শুধু নিন্দনীয় নয়, দেশের পক্ষে তা ভয়ংকর হতে চলেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584