নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
দেউচা-পাচামি এলাকার পাথর শিল্পাঞ্চল গঠনের জট কাটল না এখনও। সোমবার জেলাশাসক বিধান রায় সিউড়ির প্রশাসনিক ভবনে এলাকার পাথর শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে আপাতত পাথর শিল্পাঞ্চল না খোলারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানান, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অভিযোগ, দেউচা-পাচামি এলাকার প্রস্তাবিত কয়লা খনির জন্য পাথর শিল্প ঘিরে চলছে রাজনীতি এবং মূলত বহিরাগতরাই অশান্তি সৃষ্টি করছে। পাথর শিল্প মালিকদের দাবি, এই অশান্তির জেরে আদিবাসী নেতারা ‘চড়কা’ পুঁতে পাচামি এলাকার সব পাথর খাদান, পাথর কল বন্ধ করে দেয়। ফলে এলাকার ৭৫০ টিরও বেশি কল বন্ধ হয়ে রয়েছে। কাজ হারিয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় দু’বছর পরে পাথরের চাহিদা আবার বেড়েছে। অন্যদিকে খাদান ও ক্রাশার বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা।
পাথর শিল্প মালিকদের সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, কয়লা খাদান বিরোধী যে আদিবাসীরা এলাকা বন্ধ করেছেন তাঁরা শর্তসাপেক্ষে ফের এলাকা খুলতে চাইছেন। তাঁদের দাবি, সপ্তাহে একদিন শিল্পাঞ্চল বন্ধ রেখে কয়লা বিরোধী আন্দোলনে শামিল হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। চারাইয়ের জন্য বাড়তি দর দিতে হবে। তাতে রাজি নয় সংগঠন।
আরও পড়ুনঃ মালদায় পুরসভা ভোটে ছাপ্পার অভিযোগের মামলায় রাখতে হবে সিসিটিভি ফুটেজঃ হাইকোর্ট
অভিযোগ, ‘জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসংঘ’ আদতে জমি বিরোধী ছোট ছোট সংগঠনের সমষ্টি যারা মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে। তৃণমূলের আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেনের বক্তব্য, প্রথম পর্যায়ে হরিনসিঙা, দেওয়ানগঞ্জ ইত্যাদি যেসব এলাকায় কয়লা উঠবে সেখানে কোনও সমস্যা নেই। আশপাশের বহিরাগতরা জেঠিয়া, বারোমেসিয়া, হাবড়াপাহাড়ি, ঢোলকাটা থেকে এসে শিল্পাঞ্চল বন্ধ করে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। যার জেরে সাধারণ শ্রমিকদের ভুগতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের আনিসের দাদার, চান সিবিআই তদন্ত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584