নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ারঃ
বেসরকারি হাসপাতালের বিল মেটাতে সর্বস্ব হারিয়েছে পরিবার।পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যাক্তি স্বামী হৃদরোগে শয্যাশায়ী।
অনাহার অর্ধাহারে দিন কাটছে আলিপুরদুয়ার শহরের দেবিনগর এলাকার দে পরিবারের। ওষুধ কেনার টাকা নেই। চিকিৎসা বন্ধ। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছেন ছবি দে। এখনও কোন সুরাহা মেলেনি।
ছবি দে বলেন, “এর ওর থেকে ধার দেনা সাহায্য নিয়ে আমার সংসার চলছে।দুই বেলা ঠিক মতো খেতে পাচ্ছি না।স্বামী শয্যাশায়ী, চিকিৎসার টাকা নেই। মানুষ আমাকে আর কত সাহায্য করবে। বেসরকারি হাসপাতাল আমাদের স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নেয় নি।
এখন আমার স্বামীর চিকিৎসা না করালে উনি মরে যাবেন।আমরাও পরিবারের অন্য সদস্যদের মরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।এই অবস্থায় শনিবার দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করে কাজ ও সাহায্য চেয়েছি। তিনি বলেন আমাদের বাচানোর ব্যবস্থা করা হোক।”
আরও পড়ুনঃ ঝড়ে ভেঙেছে ঘর,সাহায্যের আশায় বসে গোটা পরিবার
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেবী নগরের বৃদ্ধা মা এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ছোট্ট সংসার তাপস দের।
দুই কাম-রার টিনের চালা দেওয়া ঘর।তাতেও কোন মতে সংসার চলে যাচ্ছিল।কিন্তু গত জুন মাসের ২১ তারিখ আচমকা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন পেশায় গাড়ির চালক তাপস দে।তড়িঘড়ি সেদিনই আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় এরপর তাকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথীর চিকিৎসা কার্ড দেখালেও তা গ্রহন করে নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিন দিন চিকিৎসার কারনে ওই হাসপাতালের বিল হয়েছে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।তা মিটিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে পরিবার।পরিবারের একমাত্র ছেলে ক্লাস ফোরের ছাত্র।তার পড়াশোনা বন্ধ।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কনক সরকার বলেন, “চিকিৎসা সময় পাড়া প্রতিবেশীরা যথাসাধ্য সাহায্য করেছিল।কিন্তু এখন বিষয়টি সরকার না দেখলে এই পরিবারটি মৃত্যু মুখে চলে যাবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584