নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
লকডাউনের জেরে ধারাভি বস্তিতে বিদ্যুৎ বিল পাঠানো বন্ধ রাখা হয়েছিল। আনলক পর্ব শুরু হতেই সেই বকেয়া বিল আদায়ের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি এবং বকেয়া মিলিয়ে বিলের পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছে অবিশ্বাস্য অঙ্কে। বিদ্যুতের বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ ধারাভিবাসীর।
কীভাবে এই বকেয়া বিল মেটাবেন, ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিল মেটাতে অনেকেই ধার করেছেন। অনেকে আবার স্ত্রীর গয়না বন্দক রেখে বিল মিটিয়েছেন। বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় এখন দিন গুজরাচ্ছেন ধারাভির মানুষ।
আরও পড়ুনঃ মেনকার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের কাছে জবাবদিহি চাইল সুপ্রিমকোর্ট
বকেয়া বিলের অঙ্ক দেখে মাথায় হাত তাশাউর আলির। তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে ৫০ হাজার টাকার বিল। বন্ধুর থেকে ২০ হাজার টাকা ধার করে বকেয়া বিলের একটা অংশ মিটিয়েছেন। বাকি ৩০ হাজার টাকা মেটাবেন কী করে, ভেবে পাচ্ছেন না বছর তিরিশের তাশাউর।
তিনি জানিয়েছেন, ‘লকডাউন শুরুর পরে কারখানা বন্ধ ছিল। তখনও মাসে মাসে চার হাজার টাকার বিল ধরা হয়েছে। ব্যবসাপাতি নেই। সব সঞ্চয় শেষ, হাতে আর টাকা নেই’।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় কংগ্রেসে নয়া তিন নীতি নির্ধারণ কমিটি, স্থান পেলেন বিদ্রোহী নেতারাও
বিদ্যুৎ সংস্থা এবং স্থানীয় নেতাদের ধরেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।ধারাভিতেই একটি ঘরে ১৫ জনের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকেন আব্দুল হাসান। লকডাউন শুরুর আগে মাসে তাঁরা ২ হাজার ৪০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতেন। অগাস্ট মাসে বিদ্যুৎ সংস্থার অ্যাপে দেখেন, তাঁর ২৪ হাজার টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। বিল মেটাতে গয়না বন্দক দিয়েছে হাসানরা।
এই অবস্থায় বিল মুকুবের জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে দরবার করেছিলেন ধারাভির বাসিন্দারা। কিন্তু সেরাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী নীতীন রাউত সাফ জানিয়েছেন, বিল নিয়ে তাঁদের কিছু করার নেই। তবে ধাপে ধাপে যাতে এই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকরা মেটাতে পারেন, তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584