নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও ৬ মাস দেরি। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বেই ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান থেকেই এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পরে গেল বর্তমান রাজ্য রাজনীতিতে।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর দল বদলের প্রসঙ্গে এভাবেই তাকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রাক্কালে শুরু হয়েছে দল ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। শুভেন্দু অধিকারীর সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মন্ডল, বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
ঠিক তার পরেই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলের বেশকিছু কর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীর ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলল। এই বিষয় নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী হলদিয়াতে ঢুকতেই পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কিছু তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চন্দ্রকোনা রোডে তৃণমূলের বিক্ষোভ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান বিশাল পুলিশবাহিনী। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর কাছে হলদিয়ার সতীশ সামন্ত ভবন বিতর্কিত হয়ে উঠলো। যা কিনা সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি দাবি করেন যে এটি সাংসদ অফিস, আবার তৃণমূলের কর্মীরা দাবি করেন এটা পার্টি অফিস, দলীয় অফিস। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা চাইছেন না দিব্যেন্দু অধিকারী এখানে এসে বসুক। যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি যোগ দিয়েছেন তাই ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী হয়তো বিজেপিতে যোগদান করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ জুতোর মালা-কুশপুত্তলিকা দাহ মেদিনীপুর জুড়ে ক্ষোভ শুভেন্দুকে ঘিরে
দিব্যেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি বর্তমানে তৃণমূলে রয়েছেন কে কোন দলে গেছেন সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। তবে গতকাল হলদিয়া দূর্গাচকে যারা পোস্টার বা শুভেন্দুর ফ্লেক্স ছিড়েছিল তাদের বিরুদ্ধে দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানান।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্তকরণ করবেন। তাকে শুভেন্দুর দলত্যাগ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান। সতীশ সামন্ত ভবনের চাবি স্থানীয় কাউন্সিলর স্বপন নস্করের হাতে দিয়ে যান। তবে কি দাদার পরে ভাই দলত্যাগ করতে চলেছে প্রশ্ন তৃণমূল কর্মীদের একাংশের।
এক কথায় বলা যেতে পারে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর কার্যত অধিকারী পরিবার অন্যান্য রাজনৈতিক সদস্যের কাছে যথেষ্ট সংশয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584