পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
নাম এক পদ আলাদা, কুকথায় একে অপরকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।বিজেপির রাজ্য সভাপতি থেকে জেলা সহ-সভাপতি সস্তা প্রচারকে হাতিয়ার করে কুকথার ফোয়ারা ছোটাচ্ছে রাজ্য জুড়ে।
নির্বাচন ঘোষণার পর নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন তৃণমূল কর্মীদের ডেথ সার্টিফিকেট লেখা হয়ে গেছে শুধু বিলি করার অপেক্ষা।রাজ্য বিজেপি সভাপতির কুকথার সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে কখনো ভারতী ঘোষ, সায়ন্তন বসু,আবার জেলাস্তরে নেতারাও সামিল হয়েছে মারকাটারি শব্দের বান ছোটাতে।
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি দিলীপ ঘোষ রবিবার লাভপুরে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন ঘরে বটি আছে তো,ওদের ঘিরে মারুন, আমরা আছি বাকিটা দেখে নেব।বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের প্রার্থী অসিত মাল জানান,খুবই ভয়ঙ্কর বক্তব্য,এ তো সরাসরি খুন করার জন্য উস্কানি দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আমরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছি।এইভাবে সাধারণ মানুষকে খুন করতে আস্কারা দিয়ে বিজেপি কি প্রমাণ করতে চাইছে তা বোধগম্য হচ্ছে না।আমরা বারবার বলে এসেছি বিজেপি খুনের রাজনীতি করে,ধর্মের রাজনীতি করে,সেটা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য থেকে আবার প্রমাণ হয়ে গেল।
তবে কি কথা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস খুব একটা পিছিয়ে নেই।হুমকি দেওয়া,নানা অছিলায় ভোটারদেরকে শব্দের মাধ্যমে ভীত সন্ত্রস্ত করার প্রক্রিয়া বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস অনুব্রত মণ্ডল দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ভারতীর হুমকির পরেই কেশপুরে আক্রান্ত তৃণমূল
বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন,ওরা মারের ভাষা বোঝে তাই আমরা আমাদের কর্মীদের বলেছি আত্মরক্ষার্থে হাতে বটি তুলে নিতে।এতে অন্যায় কি আছে।প্রত্যেক মানুষেরই নিজের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584