নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
“দিদিমণির পাঠশালায় যাচ্ছি”, বুধবার সর্বদল বৈঠকে যোগদানের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিক এইভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সর্বদল বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পার্লামেন্টেও গিয়েছিলাম। বিধানসভাতেও গিয়েছি। এটা আর নতুন কী? দিদিমণির পাঠশালায় ডেকেছে, যাবও।”
তিনি আরও বলেন, “নানারকম দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের আত্মীয়া টাকা পেয়েছে। আমরা বিডিও থেকে লিস্ট জোগাড় করার চেষ্টা করছি সব। সেই সব নিয়ে বলব। ত্রাণ দিতে গিয়ে আমাদের কর্মীরা বার বার আক্রান্ত হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের স্কুল-কলেজ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সর্বদল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতে বঙ্গ বিজেপি সভাপতিকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন মিনিটের এই ফোন কলেই দু’জনের সম্পর্কের বরফ গলে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ফোন পেয়েই সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে বৈঠকে আসার বিষয়ে সম্মতি জানান দিলীপ ঘোষ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠকে নিজের মতামত রাখবেন বলেও জানান দিলীপবাবু।
এদিন ফলতার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের করোনায় মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ১ মাস তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকার ভিআইপিদেরও চিকিৎসা সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে পারছে না। এটা ব্যর্থতা। শাসকদলের বিধায়ক ও সাংসদরা আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ তারা সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছেন না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীও মানছেন না। উল্টে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে পুলিশ।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, “নিজের দলের মন্ত্রী, বিধায়কদের বাঁচাতে পারেন না। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?” বুধবার মেদিনীপুর জোনের ভার্চুয়াল জনসভায় উপস্থিত থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কার্যত তুলোধোনা করেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584