নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
যে ভাবে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব মানা ছাড়া এটাকে সামলানো সম্ভব নয়। তবে লকডাউন শুধু মুখে বললে হবে না সেটাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে হবে। উল্লেখ্য, নতুন করে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোন গুলিতে শুরু হতে চলেছে কড়া লকডাউন। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কার্যত এভাবেই সমর্থন জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি জানিয়েছেন, “লকডাউন তো পশ্চিমবঙ্গে তিন মাস ধরে চলছে, কিন্তু আমরা দেখতে পাইনি। সব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আর তার পরিণামেই প্রতিদিন রাজ্যে প্রায় ১০০০ -এর কাছাকাছি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন জুলাই -এর মাঝামাঝি সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে পরিসংখ্যান। সেটাই হয়েছে। এটা জানার পরও যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে সংক্রমণের হার আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
একই সঙ্গে আমার মনে হয়, যখন সরকার বলেছেন সেটা পাবলিকের মানা উচিত। আর এটা যাতে সবাই মানে সেটা সরকারের দেখা উচিত। আধা কাজ না করে যদি আর কিছু দিন বন্ধ করলে আমরা সুস্থ থাকতে পারি অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।”
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিয়মমাফিক বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা নবান্নের
এদিন আমপানে দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রীদের বয়ান বদল করতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তা তারা আঁচ করতে পেরেছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীও বারবার নিজের সুর বদলাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ৩ দিন হাজিরা দেওয়া আবশ্যক, নিজস্ব করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ঘোষণা স্বাস্থ্যভবনের
প্রথমে বলেছিলেন কোথাও কোথাও একটা দুটো হয়েছে, তারপর বললেন তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হয়েছে, আর এখন দেখা গিয়েছে হাজার হাজার সংখ্যায় এটা হয়েছে। বেশিরভাগ টাকায় সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। লুট হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে ২৫ জনকে দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল, আর আমি বলছি আড়াই হাজার লোক ওখানে দুর্নীতি করেছে। তাদের কি হবে? তৃণমূলের যদি দম থাকে কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে লোক দেখানো শোকজ না করে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হোক। তাতে যদি বিজেপি-র কোন কর্মী জড়িয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে এফআইআরও হোক। সেও শাস্তি পাক।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584