নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
খিচুড়ি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। বললেন “ এ খিচুড়ি সম্পূর্ণ আমার রান্না। আর কারও নয়।“
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লকডাউন সমকাল পর্বে ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থার প্রাক্তন ও বর্তমান ১১ জন গবেষক মিলে হিন্দি ভাষায় একটি শর্ট ফিল্ম নির্মান করেন, নাম খিচুড়ি।
যে শর্ট ফিল্মটি তাঁরা গত ২৮ এপ্রিল ‘কথা কবিতা অউর কাহিনি নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ করেন। নির্মিত এই শর্ট ফিল্মটিতে তাঁরা ভালো সাড়া পান বলে দাবি করেন নির্মাতা গ্রুপের পক্ষ থেকে যোগরাজ ব্যানার্জি।
আরও পড়ুনঃ টলিপাড়ার নক্ষত্ররা উপগ্রহ! শর্ট ফিল্মের ভাবনা চুরির অভিযোগে নিরুত্তর আনন্দবাজার
গোল বাধে ৫ জুন একই নামে বাংলা ভাষায় একটি শর্ট ফিল্ম রিলিজ করে বহুল প্রচারিত দৈনিক বাংলা সংবাদপত্রের ইউটিউব চ্যানেলে। যে শর্ট ফিল্মটিতে অভিনয় করতে দেখা যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ টালিগঞ্জের প্রখ্যাত অভিনেতা অভিনেত্রীদের।
এই শর্ট ফিল্মটি পরিচালনা করেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থার গবেষকরা দাবি করেন ৫ জুন বাংলায় রিলিজ হওয়া এই শর্ট ফিল্মটি তাঁদের নির্মিত শর্ট ফিল্ম থেকে কপি করা। অভিযোগকারীদের দাবি, তাঁরা এই সংবাদপত্রের কাছে অভিযোগ করেও তার কোন সদুত্তর তো পান-ই নি, উপরন্তু তাদের কমেন্টগুলি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘নিরন্তর’ নিয়ে হাজির টলি সম্রাট প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি
অবশেষে নিউজফ্রন্ট গত ১১ জুন বিকেলে অভিযোগকারী নির্মাতাদের লিখিত বিবৃতি এবং মৌখিক কথোপোকথনের ভিত্তিতে এই বিষয়ের উপর সংবাদ প্রকাশ করে।
প্রকাশিত সংবাদের পরেই ১২ জুন এই বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের ডিজিটাল সংস্করণে পরিচালক পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতি সম্বলিত একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যেখানে অভিনেত্রী দাবি করেন, ‘‘দুটো ভিডিয়ো দেখলেই বোঝা যাবে বিষয়টা কত আলাদা।
এখন লকডাউনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সব ভিডিয়ো ওই ভাবে হচ্ছে। ফরম্যাটিংয়ে মিল থাকতে পারে। তবে এটা থেকে ফান্ড তোলা হয়েছে। দুঃস্থ বা বয়স্ক শিল্পী, টেকনিশিয়ান ভাইদের জন্য এই কাজ। আমার নিজস্ব কনটেন্ট হাব আছে, নতুন ছেলেমেয়েদের কাজ কপি করতে হবে এ রকম অবস্থায় পৌঁছইনি আমি।“ পাশাপাশি পল্লবী বলেন, ‘‘দুটো মানুষের কোনও ফরম্যাটে ভাবনা মিললেই সেটা কপি? আরে খিচুড়ি নামে তো সিরিয়ালও আছে। সেটাকেও কি কপি বলব? খিচুড়ি সকলের।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে অভিনেত্রী পূর্বাশার বাড়িতে কে হানা দিল?
কারও একলার হতে পারে না।“ একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘‘ছোট ছেলেমেয়েরা উদ্যোগী হয়ে নিজেদের মতো যে কাজ করেছে তাকে কখনওই ছোট করছি না। তাদের ভাবনায় সামাজিক দূরত্বের কথা আছে। খুব ভাল উদ্যোগ। ওরা সোশ্যাল মেসেজের কথা ভেবে বানিয়েছে। আমরাও বন্ধুদের নিয়ে ফান্ড রেজ করার ভাবনা থেকে বানিয়েছি। কপির কোনও প্রশ্নই ওঠে না।“
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584