মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
আইনজীবীদের টানা কর্মবিরতির জেরে জামিনের আবেদন না পারা বিচারাধীন বন্দীরা আদালত চত্বরে পুলিশ লকআপের মধ্যেই বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন।
আজ কোচবিহার আদালতে চত্বরে পুলিশ লকআপের মধ্যে ৩০ জনের মত বিচারাধীন বন্দী ওই বিক্ষোভ দেখান।বন্দীদের বুঝিয়ে পুলিশ কোন রকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।তবে বিশেষ সূত্রে খবর, এদের অনেকেই জামিনের আবেদন করতে না পেরে অনশন শুরু করেছেন।
শুধু ওই বিচারাধীন বন্দিরাই নন,আইনজীবীদের কর্মবিরতির ফলে আরও অনেকেই মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।কেন এই সমস্যা মেটাতে প্রশাসন উদ্যোগী হচ্ছে না, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি হাওড়ায় গাড়ি পার্কিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবি ও পৌরকর্মীদের মধ্যে বচসা থেকে গোলমালের সূত্রপাত হয়। সংলগ্ন আদালত চত্বরে ওই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসে আইনজীবীদের উপরে আক্রমণ করে বলেও অভিযোগ ওঠে।ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন বলে অভিযোগ।
এরপরেই রাজ্যজুড়ে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেয় আইনজীবীরা।২৪ এপ্রিল থেকে কোচবিহারের আইনজীবিরাও কর্মবিরতি শুরু করে। প্রায় ২০ দিন ধরে টানা এই কর্মবিরতির জেরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়াদের জামিন পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পুরানো মামলা গুলোর শুনানি নিয়েও জটিলতা তৈরি হচ্ছে বলে আইনজীবীদের অনেকেই জানিয়েছেন। এই জটিলতা দূর না হলে খুব শীঘ্র আরও বড় ধরণের ক্ষোভ বিক্ষোভ হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকেই।
সারা ভারত আইনজীবী সমিতির কোচবিহারের যুগ্ম সম্পাদক দেবজ্যোতি গোস্বামী বলেন, “বিচারপ্রার্থীরা যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন, তা উদ্বেগজনক। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা যেভাবে পুলিশ হাওড়ায় আদালতে ঢুকে আইনজীবীদের উপরে আক্রমণ করেছে,তা নিন্দনীয়। রাজ্য সরকারের উচিত আইনজীবীদের দাবি মেনে নিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও জটিলতার দ্রুত সমাধান করা।”
আরও পড়ুনঃ ভাইজিকে অ্যাসিড আক্রমণের অভিযোগে ধৃত জেঠু
অন্যদিকে কোচবিহার বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “আমরা মনে করি বিচার প্রার্থীদের কথা ভেবে দ্রুত এই জটিলতার সমাধান করা উচিত।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584