পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত গুমতা গ্রামের বছর দশেকের ছোট্ট মেয়ে মৌমিতা লেট। গতকাল দুপুর নাগাদ বাড়িতে কেউ ছিল না, একাই ছিল মেয়েটি। পুতুল পুতুল খেলা করছিল বাড়ির মধ্যে, হঠাৎ করে পুতুলের গায়ে লাগানো সেফটিপিন খুলে কোনোক্রমে ঢুকে যায় তার নাকের মধ্যে।দম আটকানোর মতো উপস্থিতি হয় তার, চিৎকার করতে থাকে বাচ্চাটি।
মেয়েটি চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা, বাবা দিনমজুর পেশার তাগিদে বাড়ির বাইরে ছিল।ফোন করে ডেকে আনা হয় বাবাকে, এরপর তিনটে নাগাদ সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ডাক্তার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় এখানে হবে না সিউড়ি সদর হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে।বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিউড়ি সদর হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তার বর্ধমান স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।এরপরই তার মা-বাবা জানিয়ে দেন বর্ধমানে নিয়ে যেতে গেলে অনেক খরচা কোথায় পাবো এত টাকা,একটু দেখুন। এরপর ডাক্তার আই এন টি বিশেষজ্ঞ শুভেন্দু ভট্টাচার্য অপারেশন করতে রাজি হন কিন্তু শর্তসাপেক্ষ।এরপরই ঘন্টা তিনেক অপারেশন চালানোর পর কোনরকম রক্তপাত ছাড়াই নাকের মধ্যে থেকে বের করা হয় সেফটিফিন।এখন মেয়েটি সম্পূর্ণ সুস্থ,খুব শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে জানিয়েছে চিকিৎসক।
মেয়েটির মা সীমা লেট জানান ছোট থেকে জানতাম ভগবান বলে কেউ একজন আছে, আজ সাক্ষাৎ চোখে দেখলাম।ডাক্তারবাবু না থাকলে আমার মেয়েকে আর ফিরে পেতাম না এরাই তো ভগবান।
আরও পড়ুনঃ মাননাধিকার কর্মী কর্মশালা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584