বিজেপি আয়োজিত বিতর্কিত পুজোর অনুষ্ঠানে ডোনার নৃত্যানুষ্ঠান, সৌরভকে ঘিরে জল্পনা

0
157

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। তবে এবার করোনা অতিমারির আবহে হাইকোর্টের রায়ে সব দুর্গাপুজোর মন্ডপে প্রবেশাধিকার থাকবে কেবল আয়োজকদের, দর্শনার্থীদের জন্য নো এন্ট্রি সব প্যান্ডেলে। পুজোর ভিড় থেকে করোনা সংক্রমণ এড়াতে এমন কড়া রায় হাই কোর্টের।

Saltlake EJCC | newsfront.co
সল্টলেক ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে বিজেপি আয়োজিত পুজো। ছবিঃ টুইটার

এরই মধ্যে সল্টলেকের এক পুজা মণ্ডপেই এবার নৃত্যানুষ্ঠান করে গেলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি আবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী। তাঁর এই অনুষ্ঠানের সূত্র ধরেই আবার জল্পনা শুরু হয়েছে সৌরভের বিজেপি যোগ নিয়ে। সল্টলেকের ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামের সেই পুজোর আয়োজক বিজেপির মহিলা মোর্চা। এই পুজো আয়োজনের ঘোষণা হওয়ার সময় থেকেই বিতর্কের শুরু রাজ্য রাজনীতিতে।

বিজেপির এই পুজোর ঘোষণার পর থেকেই শাসক দল তৃণমূল এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে বারেবারে অভিযোগ করা হচ্ছিল, পুজোর মঞ্চেও রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে বিজেপি এবং তা ২০২১ এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই।

আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত গুরুং গ্রেফতার হল না কেন উঠছে প্রশ্ন

রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পুজোর আয়োজন বাংলায় নতুন, স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, ধর্ম আর রাজনীতির মিশ্রণে বাংলায় বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। সেই বিজেপির আয়োজিত পুজোতেই এবার সৌরভের স্ত্রীর অনুষ্ঠান নতুন আলোচনার জন্ম দিল রাজ্য রাজনীতিতে।

রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, সৌরভের বিজেপি ঘনিষ্ঠতার জন্যই কি তবে ডোনা অনুষ্ঠান করলেন মহিলা মোর্চার পুজোয়! বোর্ডের মসনদে বসার সময়েই সৌরভের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে মুম্বইয়ের সিটি সেন্টার মল

বিজেপির মহিলা মোর্চার পুজোরই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে, এই পুজোর মঞ্চে গায়ক এবং বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় গানের অনুষ্ঠান করেন। তবে বিজেপির পুজোয় সৌরভের স্ত্রীর অংশগ্রহণ অবশ্যই অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।

মহাষষ্ঠীতে বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর পুজো ভাষণ সরাসরি টেলিকাস্ট করা হয় রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুজো বক্তৃতায় বলেন, “দুর্গাপুজোর মধ্যে দেশের সংহতি এবং শক্তি প্রতিফলিত হয়। বাংলার এই ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা অতিমারির সময়ে এই পুজো আয়োজন করা হচ্ছে। সকল ভক্তদের সংযত হয়ে থাকতে হবে। জনসমাগম কম হলেও ভক্তিতে ঘাটতি হবে না। আনন্দও কম হবে না। এটাই আসল বাংলা।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here