ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ
গোরক্ষপুর রাজঘাট এলাকায় বাড়িতে ঢুকে ডাক্তার কাফিল খানের ছোট মামা নুসরত উল্লাহ ওয়ার্সি ওরফে আফসারকে (৫৬) গুলি করে হত্যা করল এক আততায়ী। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ গুলির আওয়াজে বাড়ির সবাই বেরিয়ে এলেও ততক্ষণ চম্পট দেয় আততায়ী।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন এসএসপি ডঃ সুনীল কুমার গুপ্তা, এসপি সিটি ডঃ কৌস্তুভ,ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সূচনা অনুযায়ী প্রতিদিনই রাতের খাবার পর তিনি এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ক্যারাম খেলতে যেতেন। শুক্রবারও রাত দশটা নাগাদ তিনি ক্যারাম খেলতে যান। রাত ১১ টা নাগাদ তিনি ফিরছিলেন।
সংবাদসংস্থা অমর উজালা সূত্রে জানা গেছে আততায়ী তার বাড়ির সামনেই উপস্থিত ছিলেন। এমনকি সেই আততায়ী নুসরাত উল্লার ঘাড়ে হাত দিয়ে বাড়ির দরজা খুলে একসঙ্গেই ঢোকে। বাড়ির উঠোনে পৌঁছেই সেই আততায়ী নুসরাত উল্লার চোখের নিচে গুলি করে চম্পট দেয়। গুলির আওয়াজ শুনে বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এলেও হত্যাকারীকে ধরতে পারেনি কেউ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ডঃ কাফিল খানের ছোট ভাই কাসিফ জামিলের উপরেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।ডাক্তার কাফিল খান প্রথম সংবাদের শিরোনামে আসেন যখন ২০১৭ সালে গোরক্ষপুর বিআরডি হাসপাতলে ৬০ শিশুর মৃত্যু হয়। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় এবং দীর্ঘ ৭ মাস পর তিনি কারামুক্ত হন। গত জানুয়ারির ২৯ তারিখে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনে উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার আগেই তাঁকে সেই উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে জাতীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584