শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
লকডাউনে অবাধ্য মানুষজনকে ঘরে রাখতে গরমে-নরমে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলাটা চালিয়েই যাচ্ছে এক শ্রেণির জনগণ। এই বেপরোয়া মানসিকতার মানুষজনকে প্রমাণ-সহ শায়েস্তা করার জন্য এবার এলাকাভিত্তিক ড্রোন ওড়ানোর সিদ্ধান্ত কলকাতা পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে ২১ দিনের লকডাউনেও করোনা সংক্রমণের হার কমেনি দেশে। উলটে তা আরও বেড়ে যাওয়ায় আরও ১৪ দিনের লকডাউন বর্ধিত করতে হয়েছে। কলকাতা পুলিশের দাবি, তাতেও হুঁশ ফিরছে না এক শ্রেণির মানুষদের। সুযোগ পেলেই রাস্তায় জমায়েত, মিটিং-মিছিল চালিয়েই যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কর্মীদের জন্য করোনা প্রতিরোধক সুরক্ষা সরঞ্জাম কিনছে কলকাতা পুলিশ
শনিবারই রাজাবাগানে এরকম জমায়েতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। একই ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে পার্ক সার্কাস, গার্ডেনরিচ, বেহালা-সহ উত্তর কলকাতার কিছু এলাকাতেও।
কোন এলাকার মানুষজন কথা শুনছে না, প্রাথমিক ভাবে তার হিসেব রয়েছে পুলিশের কাছে। এরা পুলিশ আসার খবর পেলেই এলাকায় হেঁকে দিয়ে লুকিয়ে চলে গেলেই আবার রাস্তায় ঘুরছে বলে দাবি পুলিশের।
সেই কারণে এবার প্রমাণ-সহ ওই এলাকাগুলিতে কড়া ব্যবস্থা নিতে ড্রোন ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ। প্রয়োজনে ড্রোন থেকে তোলা ছবি পেশ করা হবে আদালতের কাছেও। যাতে দরকার পড়লে কিছু জায়গায় কড়া আইন প্রয়োগেও সমস্যা না হয়।
লালবাজারের এই নয়া উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে শহর কলকাতার সচেতন মানুষ। কোন কোন এলাকায়, কত পরিমান মানুষ অহেতুক রাস্তায় ঘুরছেন, জটলা পাকাচ্ছেন তা এবার ওই ড্রোনের মাধ্যমেই লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে বসেই দেখতে পাবেন কলকাতা পুলিশের বড় কর্তারা।
ইতিমধ্যেই শুক্রবার কলকাতার বড়বাজার আর পোস্তা এলাকায় কলকাতা পুলিশের একটি টিম ড্রোন উড়িয়ে নজরদারির প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে নিয়েছে। সেই সঙ্গে টিভিইউ যন্ত্রের মাধ্যমে সেই ড্রোনের তোলা ছবি লালবাজার কন্ট্রোল রুমে যে সফল ভাবে চলে যাচ্ছে, সেটাও তাঁরা দেখেও নিয়েছেন
। সূত্রের খবর, সোমবার থেকে পুরোদমে এই ড্রোনগুলি শহরের আকাশে উড়ে বেড়াবে। আর পরিস্থিতি দেখেই দ্রুত ঘটনাস্থলে অপারেশন চালাবে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584