শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সোশ্যাল মিডিয়া যেমন অনেকক্ষেত্রে সাংগঠনিক ভাল কাজের ক্ষেত্রে কাজে আসে, ঠিক তেমনই কখনও কখনও তা ভাল কাজের ক্ষেত্রে বাধাও হয়ে দাঁড়ায়।সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঠিক এমনই অভিজ্ঞতা হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের। সমস্ত পরিকল্পনা করে প্রস্তুতি শেষের পর্যায়ে নিয়ে এসেও শেষ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার চাপেই ‘মেডিক্যাল কলেজে মায়ের আগমন’ বাতিল করলেন চিকিৎসকরাই।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা মেন বয়েজ হস্টেল প্রাঙ্গণে এবার মা দুর্গার পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্যান্ডেল বাঁধা হয়ে গিয়েছিল, ঠাকুর তৈরিও প্রায় শেষের পথে। মণ্ডপে মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ সমস্ত কোভিড নির্দেশাবলী মানার প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সিদ্ধান্ত বদলে জানানো হল, মেডিক্যালে আর হচ্ছে না দুর্গাপুজো।
আরও পড়ুনঃ উৎসবের মরশুমে যাত্রীচাপ বাড়ায় আগামী সোমবার থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯ টায়
কিন্তু কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত বদল? জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ নেই। তারা কোনও চাপ দেননি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য আর পারিপার্শ্বিক চাপে শেষ পর্যন্ত পুজো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা।
পুজোর মুখে কাজের এতটাই চাপ যে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা বিন্দুমাত্র সময় দিতে পারছিলেন না। তার ওপর কোভিডযুদ্ধে মনোযোগ না দিয়ে দুর্গাপুজোয় ব্রতী হওয়ায় কটাক্ষ হেনেছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। এই যুগ্ম চাপের মধ্যে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল “মা আসছেন না মেডিক্যালে।”
আরও পড়ুনঃ মরণফাঁদ! বীরভূমের মোহাম্মদবাজারের দ্বারকা নদের ওপর সেতুতে বড় ফাটল
কলকাতা মেডিক্যালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “হাসপাতালে পুজো হচ্ছিল না, বাইরে জুনিয়রদের পুজো করার কথা ছিল। যেহেতু হাসপাতাল চত্বরে পুজো নয়, সেহেতু অনুমতি বা বন্ধ করিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।”
প্রেস রিলিজের একটি অংশে বলা হয়েছে, “এতদূর এগোনোর পরেও আমরা সমস্ত ‘সচেতনতার’ দায় মাথায় নিয়ে পুজো ও আনুষঙ্গিক সব পরিকল্পনা বন্ধ করছি। আমরা আমাদের কলেজ, হাসপাতাল তথা চিকিৎসক সমাজের প্রতি কোনও অযথা মিথ্যা অভিযোগ-সমালোচনার কারণ হতে চাই না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584